পাকিস্তানের বাণিজ্যিক রাজধানী করাচিতে বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে বাসায় ফেরার পথে গাড়িতে গ্রেনেড হামলায় নারী ও শিশুসহ অন্তত ১৩ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও আটজন।
দেশটির স্বাধীনতা দিবসকে কেন্দ্র করে এ হামলা ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এখনো কোনো গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করেনি।
স্থানীয় সময় শনিবার (১৪ আগস্ট) রাতে করাচি থেকে বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে ট্রাকে করে বাড়ি ফিরছিলেন একটি পরিবার। এসময় ওই ট্রাক লক্ষ্য করে গ্রেনেড হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা।
দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করে স্থানীয় পুলিশ। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে মারা যান আরও দুইজন। প্রাথমিকভাবে গ্রেনেড হামলা মনে হলেও বোমা বিস্ফোরণ হতে পারে বলেও ধারণা পুলিশের।
পাকিস্তানের পুলিশ কর্মকর্তা ইমরান ইয়াকুব বলেন, ট্রাকটি রাত সাড়ে নয়টার রানধি থেকে মমেনাবাদ পৌঁছালে হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বিস্ফোরণ কারণ জানতে আমরা তদন্ত শুরু করছি।
হামলার ঘটনায় কোনও গোষ্ঠী দায় স্বীকার না করলেও পুলিশের ধারণা, পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসকে কেন্দ্র করে বেলুচিস্তানের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী এ হামলা চালিয়ে থাকতে পারে।
গত সপ্তাহে বেলুচিস্তানের কোয়েটা শহরে পৃথক দুইটি গ্রেনেড হামলায় অন্তত তিনজন নিহত হয়। পরে বেলুচ বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করে।
খুলনা গেজেট/কেএম