বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেসা মুজিব-এর ৯১ তম জন্মবার্ষিকী কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন অত্যন্ত গাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশে উদযাপন করেছে। এ উপলক্ষে উপ-হাইকমিশন এর গ্যালারিতে বঙ্গমাতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, তথ্যচিত্র প্রদর্শন, বাণী পাঠ, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
উপ হাইকমিশনার তৌফিক হাসানের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন, প্রখ্যাত সাংবাদিক অমল সরকার, উপ-হাইকমিশন এর প্রথম সচিব (প্রেস) ড. মো: মোফাকখারুল ইকবাল, প্রথম সচিব (রাজনৈতিক-১) শামীমা ইয়াসমীন স্মৃতি, প্রথম সচিব (রাজনৈতিক-২) সানজিদা জেসমিন।
সভাপতির বক্তব্যে উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান বলেন, বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবনে বাবা মায়ের পাশাপাশি যাঁর অবদান সবচেয়ে বেশি ছিল তিনি হচ্ছেন বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব| তাঁর অসামান্য অবদানের কারণেই বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের বন্ধু হয়ে উঠেছিলেন বঙ্গবন্ধু| বঙ্গবন্ধু তাঁর অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে প্রায় ৩৬ বার স্ত্রী রেণুর কথা উল্লেখ করেছেন আর কারাগারের রোজনামচায় উল্লেখ করেছেন প্রায় ৭০ বার | এই বই দুটি পড়লে স্পষ্টতই মনে হয় বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবই ছিলেন বঙ্গবন্ধুর জীবনের চালিকাশক্তি | কাজেই বঙ্গমাতার প্রকৃত মূল্যায়ন ছাড়া বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস অসম্পূর্ণ থেকে যাবে |
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব-এঁর ৯১ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রেরিত বাণী পাঠ করেন, উপ-হাইকমিশন এর কাউন্সিলর ( শিক্ষা ও ক্রীড়া) রিয়াজুল ইসলাম ও কাউন্সিলর (কনস্যুলার) মো: বশির উদ্দিন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন প্রথম সচিব (রাজনৈতিক-৩) মুহাম্মদ সানিউল কাদের।
অনুষ্ঠানে উপ-হাইকমিশনের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী ও কলকাতার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা গেজেট/এএ