হেলেনা জাহাঙ্গীর, নায়িকা পরীমণি, মডেল পিয়াসা, মৌ ও তাদের সহযোগী মিশু, জিসান, প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার তদন্তভার সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার (৬ আগস্ট) বিকেলে পুলিশ সদর দফতরের নির্দেশনায় এই মামলাগুলো সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়।
বুধবার (৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় বনানীর বাসায় অভিযান চালিয়ে পরীমণিকে আটক করা হয়। তখন তার বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করার কথা জানায় র্যাব। পরদিন বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) প্রেস ব্রিফিংয়ে র্যাব জানায়, পরীমণির বাসায় একটা মিনিবার ছিল। তার বাসায় নিয়মিত পার্টি হতো। সেই পার্টিতে মদসহ সব ধরনের মাদক সাপ্লাই দিতো নজরুল ইসলাম রাজ। এরপর বনানী থানার মাদক মামলায় নায়িকা পরীমণিকে গতকাল বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এছাড়া প্রযোজক নজরুল ইসলাম ওরফে রাজ এবং দুই সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দীপু ও সবুজ আলীর চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
এদিকে, মাদক মামলায় মডেল পিয়াসাকে ৮ দিন এবং মৌকে ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। প্রথম দফায় ৩ দিনের রিমান্ড শেষে শুক্রবার (৬ আগস্ট) বিকেলে আদালতে তোলা হয় মডেল মৌ ও পিয়াসাকে। মডেল পিয়াসাকে আলাদা ৩টি মাদক মামলায় ২৭ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। এ সময় গুলশানে ২, খিলক্ষেত ও ভাটারা থানায় দায়ের করা মামলায় তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। অন্যদিকে, মোহাম্মদপুর থানার মাদকের মামলায় মৌ’র বিরুদ্ধে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে সিআইডি। পরে আদালত ৪ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে, আওয়ামী লীগ থেকে পদ হারানো হেলেনা জাহাঙ্গীরকে বিভিন্ন আইনে করা চার মামলায় ১৪ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। গত ৩০ জুলাই রাত ৮টার দিকে হেলেনা জাহাঙ্গীরের গুলশানের বাসায় র্যাবের অভিযানের পর রাত ১২টার দিকে তাকে আটক করা হয়। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে মিথ্যাচার ও সম্মানহানির অভিযোগে তার বাসায় ওই অভিযান চালানো হয়।
খুলনা গেজেট/এনএম