চিকিৎসা শেষে মেয়র খুলনায় এলেই কেসিসি’র এবারের বাজেট পেশ হবে। তা হতে পারে আগস্টের শেষ সপ্তাহে। আকার হবে ৬ শ’ কোটিরও বেশি টাকার। ২০১৮ সালে তালুকদার আব্দুল খালেক দ্বিতীয় দফায় মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর এটি তৃতীয় বাজেট। গত বছর ২৬ আগস্ট সদ্য সমাপ্ত অর্থ বছরের বাজেট ঘোষণা হয়।
কেসিসি সূত্রে জানা গেছে, এবারের বাজেটে করোনা ভাইরাস রোগ প্রতিরোধ, এডিস মশা নিধণে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এ খাতে এক কোটিরও বেশি টাকা বরাদ্দ হবে। শহর রক্ষা প্রকল্প, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, নগরীর সড়ক ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা বিশেষ করে জলবদ্ধতা নিরসনে বিশেষ বরাদ্দ রাখা হচ্ছে। নগরীর সার্বিক উন্নয়ন ও জনগণের কল্যাণে এডিবি, জার্মান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, ইউএনডিপি, ইউনিসেফ , জার্মান উন্নয়ন সংস্থ্যা সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে। গেল অর্থ বছরে দাতা সংস্থার ১০ টি প্রকল্পের মধ্যে পাঁচটির কাজ শেষ হয়েছে। নেদারল্যান্ডের অর্থায়নে মানববর্জ্য পরিশোধনাগার নির্মাণ হয়েছে।
সূত্র জানায়, এবারের বাজেট হবে অনুদান নির্ভর। গেল বারের বাজেটে বলা হয়েছে উন্নয়নমূখী বাজেট। কেসিসি’র অর্থ স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান শেখ মোঃ গাউসুল আযম জানান, ৬ শ’ কোটির বেশি টাকার খসড়া বাজেট তৈরী করা হয়েছে। লকডউন শেষে বিশেষ সভায় তা সংশোধন ও সংযোজন করা হবে। মেয়র ফিরে এলেই বিশেষ সভা ও বাজেট পেশের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হবে। দাতা সংস্থার সহযোগিতায় উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে।
সদ্য সমাপ্ত অর্থ বছরে ৫০৪ কোটি ৩৩১ লাখ ২২ হাজার টাকার বাজেট পেশ করা হয়। উন্নয়ন প্রকল্পে সরকারি অনুদান ধরা হয় ২৫০ কোটি ২৮ লাখ ২০ হাজার টাকা। ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে ৮৬৫ কোটি ৫৪ লাখ টাকার বাজেট পেশ হয়। সংশোধিত বাজেট ছিল ৫৮২ কোটি টাকা। অনুদান ৪৪৮ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। এ সময়ে অর্জন ৬৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি