বাগেরহাটের শরণখোলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ কেটে ভারী বর্ষণে আটকে থাকা পানি অপসারণ শুরু করেছে উপজেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার (৩ আগষ্ট) দুপুরে উপজেলার রাজৈর গ্রামের কালিয়ারখাল এলাকায় এস্কেভেটর মেশিন দিয়ে বেড়িবাঁধের মাটি কেটে এই পানি নামানোর কাজ শুরু হয়। এসময় শরণখোলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন শান্ত, উপজেলা নির্বাহী অফিসার খাতুনে জান্নাতসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। বেরিবাঁদ কেটে পানি নিস্কাসন করায় আনন্দ প্রকাশ করেছেন পানিবন্দি মানুষেরা।
স্থানীয় মোঃ জাকির হোসেন, মোঃ হানিফ, জুয়েল মীরসহ কয়েকজন বলেন,বেড়িবাঁধ আমাদের জন্য খুবই দরকার। কিন্তু বেড়িবাঁধে প্রয়োজনীয় স্লুইজগেটের অভাবে ঠিকমত পানি নামতে না পাড়ায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় শরণখোলায়। সাত দিন পরে আজ প্রশাসন এই বেড়ি বাঁধ কেটে আমাদেরকে জলাব্ধতার হাত থেকে রক্ষা করল। এ জন্য আমরা উপজেলা প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞ। তবে এটাই স্থায়ী সমাধান নয়, এর জন্য সঠিক পরিকল্পনা করে একটি স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তারা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার খাতুনে জান্নাত বলেন, সাম্প্রতিক ভারী বৃষ্টিপাতে উপজেলায় প্রায় ৫৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ে। বৃষ্টির পানিতে সৃষ্ঠ জলাবদ্ধতায় ফসলের মাঠসহ এলাকাবাসীর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধে পর্যাপ্ত স্লুইজ গেট না থাকায় বৃষ্টির পানি ঠিক মত নামতে পারছিল না। যার ফরে স্থানীয় জন প্রতিনিধি এবং উপকূলীয় বাধ উন্নয়ন প্রকল্পের (সিইআইপি-১) প্রকল্পের কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে আমরা বাঁধ কেটে পানি অপসারনের ব্যবস্থা করেছি। পরবর্তীতে এই বাঁধে প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্লুইজ গেট নির্মানের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন তিনি।
উপকূলীয় বাধ উন্নয়ন প্রকল্পের (সিইআইপি-১) খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আশরাফুল আলম বলেন, জরুরী ভিত্তিতে শরণখোলা উপজেলার জলাবদ্ধতা নিরসনে ইতিমধ্যে আমরা উপজেলার চারটি ইউনিয়নে নয়টি স্থান চিহ্নিত করেছি। সেখানে পাইপ বসিয়ে দ্রুত পানি নামার ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়াও জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধানের জন্য ৬ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যাদের রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) দুপুর থেকে ভারি বর্ষণে বাগেরহাটের বেশিরভাগ উপজেলায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এর মধ্যে সব থেকে বেশি জলাবদ্ধতা হয় শরণখোলায়। বেড়িবাধে পর্যাপ্ত স্লুইজ গেটের অভাবে পানি নামতে না পাড়ায় এই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। পরে স্থানীয়রা বাধ কেটে পানি নামানোর উদ্যোগ নিলে উপজেলা প্রশাসন বাধ কেটে জলাবদ্ধতা নিরসনের ব্যবস্থা করে।
খুলনা গেজেট/ টি আই