বাগেরহাটের শরণখোলায় মিথ্যা মামলায় কারাগারে থাকা ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম মোল্লার মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে শরণখোলা উপজেলার রাজাপুর বাজারের ব্যবসায়ীসহ সহস্রাধিক এলাকাবাসী এই মানববন্ধন করেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, ফাঁসানো মামলায় কারাগারে থাকা রাজাপুর গ্রামের আমিনুল ইসলামের স্ত্রী তানিয়া বেগম, একই গ্রামের ব্যবসায়ী শাহ আলম, মোঃ জিয়াউর রহমান, আলতাফ হোসেন জমাদ্দার, মামলার বাদী মোছাঃ শাফিয়া বেগম দুলালীর ভাই আজিজ মোল্লা, আব্দুস সালাম, রশীদ মোল্লা, মোছাঃ শাফিয়া বেগম দুলালীর স্বামী মনির চকিদারের ভাই মহিদুল চকিদার, সাবেক ইউপি সদস্য আমিনুল ইসলাম পিন্টুসহ এলাকার অনেকে।
কারাগারে থাকা আমিনুল মোল্লার স্ত্রী তানিয়া বেগম বলেন, আমরা ঢাকায় ব্যবসায়ী করি। ২০১৯ সালে তিন বিঘা জমি বন্ধক দেওয়ার কথা বলে শাফিয়া আক্তার দুলালী স্টাম্পে চুক্তির মাধ্যমে আমাদের কাছ থেকে দেড় লক্ষ টাকা নেয়। কিন্তু জমি না দেওয়ায়, আমরা টাকা ফেরত চাই। টাকা ফেরত চাওয়ায় শাফিয়া আক্তার দুলালী আমার স্বামীর নামে শাফিয়ার মেয়েকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় আমার স্বামীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ জেল হাজতে পাঠিয়েছে। এই মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমাদের টাকা ফেরত না দেওয়ার জন্য এই কাজ করেছে শাফিয়া আক্তার ও তার স্বামী।
স্থানীয়রা বলেন, শাফিয়া আক্তার দুলালী ও তার স্বামী মনির চকিদার এলাকার মানুষকে জিম্মি করে বিভিন্ন সময় টাকা আদায় করে। পুলিশের সাথে সুসম্পর্ক রেখে এলাকায় নানা অপরাধ করে তারা। কিছু দিন আগে ব্যবসায়ী সেলিম জোমাদ্দারকে বাড়িতে আটকে ৭০ হাজার টাকা আদায় করেছে। শাফিয়া আক্তার সাংবাদিক পরিচয়েও চাঁদাবাজী করে এলাকায়। শুধু সেলিম এবং আমিনুল নয় শাফিয়া এবং তার স্বামী এলাকার অনেককে জিম্মি করে টাকা নিয়েছে।
শাফিয়া আক্তার দুলালীর ভাই আজিজ মোল্লা, আব্দুস সালাম ও রশীদ মোল্লা বলেন, শাফিয়া আমাদের বোন হলেও এই মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। এভাবে মানুষকে হয়রানি করাটা আমরা সমর্থন করি।
মনির চকিদারের ভাই মহিদুল চকিদার বলেন, আমার ভাই মনির ও তার স্ত্রী এলাকার মানুষের সাথে খুবই নোংরা আচরণ করে। এতে আমাদেরও মান সম্মানের হানি হয়। আমরা এই ধরণের অপকর্মকে সমর্থণ করিনা।
ধর্ষণ মামলার বাদী শাফিয়া আক্তার দুলালী বলেন, আমরা আমিনুলের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলাম। সেই টাকা ফেরতও দিয়েছি। কিন্তু স্টাম্প ফেরত আনা হয়নি। কিন্তু সে আমার মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছে, আমি এর বিচার চাই।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সাইদুর রহমান বলেন, শাফিয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে নিয়মিত মামলা দায়ের করে আমরা আমিনুল ইসলামকে আদালতে সোপর্দ করেছি। ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগটি তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্ত শেষে সত্য ঘটনা জানা যাবে।
খুলনা গেজেট/এনএম