পিকচার প্যালেস মোড়ে প্রতিদিন মাইকিং হচ্ছে, ‘ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে পরিত্যক্ত টায়ার, ডাবের খোসা ও দইয়ের খলিতে পানি জমতে দেবেন না।’ এ প্রচার সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে। অথচ নিজেরাই মানছেন না! কর্পোরেশনের গাড়ি গ্যারেজে পরিত্যক্ত টায়ারের স্তুপ। এখানে বসে অফিস করেন মশক নিধণের প্রধান কর্মকর্তা ও কেসিসি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল আজিজ নিজেই।
ডেঙ্গু ও চেকুনগুনিয়া প্রতিরোধে মহানগরীর ৩১ টি ওয়ার্ডে সপ্তাহে ছয়দিন স্প্রে করা হচ্ছে। মশক নিধণে ৩৪ জন জনবলের স্থলে আরও ২৪ জন বাড়ানো হয়েছে। ৪৭ টি ফগার মেশিন কাজ করছে। আরও ২০ টি মেশিন আসছে। মশক নিধণের ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে।
কনজারভেন্সির দয়িত্বে নিয়োজিত নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল আজিজ জানান, ময়ূর নদে কিউলেক্স নামক মশা জন্ম নিচ্ছে। এডিস মশার সন্ধান এবছর পাওয়া যায়নি। নগরীর যেখানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে এবং কালভাটের তলে কিউলেক্স মশা জন্ম নিচ্ছে। বাড়ির ছাদে ফুলের টবে জমে থাকা পানি থেকে মশার বিস্তার হচ্ছে। তিনি বলেন, পরিত্যক্ত টায়ার, ডাবের খোসা ও দইয়ের মালশা ডাস্টবিনে ফেলার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
গাড়ি গ্যারেজে টায়ারের স্তুপ সম্পর্কে মশক নিধন কর্মকর্তা বলেন, স্থানের অভাবে গ্যারেজে টায়ার রাখা হয়েছে। গাড়ির পুরনো টায়ার পরিবর্তন করে নতুন টায়ার সংযোজন করা হয়। পুরনো টায়ারগুলোর ওপর লার্ভাসাইড স্প্রে করলে মশা জন্ম নিতে পারে না।
গত মাসে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবেলায় কেসিসি’র পাঠানো প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মশক নিধনে ক্রাস প্রোগ্রামের মাধ্যমে প্রত্যেক ওয়ার্ডে প্রথম শিফটে লার্ভিসাইড এবং বিকেলের শিফটে এ্যাডাল্টিসাইড ফগিং করা হয়। ২০ ফগার মেশিন কেনার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। মেডিকেল কলেজ ও অন্যান্য হাসপাতালে করোনা ভাইরাসের বর্জ্য অপসারণ করে জীবানুমুক্ত করা হচ্ছে।
ডেঙ্গু মোকাবেলায় সদ্য সমাপ্ত অর্থ বছরে ৮০ লাখ ২৬ হাজার টাকা ব্যয় করা হয়েছে। লার্ভিসাইড ওষুধ সরবরাহ কম থাকায় তা কেনার প্রক্রিয়া চলছে।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি