Edit Content
খুলনা, বাংলাদেশ
শুক্রবার । ২২শে আগস্ট, ২০২৫ । ৭ই ভাদ্র, ১৪৩২

ই-পেপার

Edit Content

করোনা হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে এক রাতে তিন রোগীর মৃত্যু

নিজস্ব প্রতি‌বেদক

নগরীর নূরনগর করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে অক্সিজেন এর অভাবে এক রাতেই তিন রোগীর মৃত্যু। শুক্রবার রাতের আলাদা আলাদা সময়ে এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। রোগীদের সাথে কথা বলে জানাগেছে প্রতিরাতে অন্তত ৪-ঘন্টার বেশি অক্সিজেন থাকে না। এতে সার্বক্ষণিক অক্সিজেনের প্রয়োজন হওয়া রোগীরা মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করলেও হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ মুুন্সি রেজা সেকেন্দার রেগুলার কাজের বাইরে চাপ নিতে নারাজ বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

হাসপাতাল সূত্রে জানাগেছে, যশোর সদর থানার বাসিন্দা আনোয়ারা বেগম (৬০) কে ১২ আগস্ট রাত সাড়ে আটটায় সে সময় থেকে তার সার্বক্ষণিক অক্সিজেন এর প্রয়োজন হচ্ছিল। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত পৌনে ১২টায় তার মৃত্যু হয়। পরিবার সূত্রে জানা যায়, রাত ১০টার পর থেকে বেশিরভাগ রোগীদের কাছেই অক্সিজেন ছিলো না। যে কয়েকজনের কাছে ছিলো তাদের ও কষ্ট হওয়ায় তারা কোন অক্সিজেন পায়নি। পরে আইসিইউতে নিয়ে চেষ্টা করা হলেও তাকে বাচানো যায়নি।

নুরনগর এলাকার বাসিন্দা হাবিবুর রহমান মনি (৫০) করো পজেটিভ হয়ে ১৩ আগস্ট বৃহস্পতিবার রাত পৌনে নয়টায় ভর্তি হন তার করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকলেও রাতে অক্সিজেন না পেয়ে শ্বাসকষ্টে শুক্রবার (১৪ আগস্ট) রাত পৌনে ১টায় তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর আগে তাকেও আইসিইউতে নেয়া হয়েছিলো।

যশোর শার্শা এলাকার বাসিন্দা আতিয়ার রহমান বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) ভর্তি হন নূরনগর করোনা হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার (১৪ আগস্ট) দিবাগত রাত ১টা ৪০ মিনেটে তার মৃত্যু হয়। আতিয়ার রহমানের পরিবারের অভিযোগ মৃত্যুর আগে ঠিক মত অক্সিজেন পাননি আতিয়ার রহমান।

খোজ নিয়ে জানাযায়, করোনা হাসপাতালে সারা দিনের মধ্যে ৪-৫ ঘন্টা অনেক সময় অক্সিজেন থাকছে না। এমনকি আইসিইউতেও অক্সিজেন এর সংকট দেখা যাচ্ছে। অক্সিজেন সরবরাহের দায়িত্বে থানা ওয়ার্ড মাষ্টার এর গাফিলতিতে ঠিকমত অক্সিজেন সরবরাহ করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে চিকিৎসকরা।
করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের সমন্বয়কারী ডাঃ ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন সিলিন্ডারের কিছুটা সংকট আছে কিন্তু এই তিনজন তো আইসিইউতে মারা গেছে সেখানে সেন্ট্রাল লাইন আছে সেখানে অক্সিজেন এর অভাবে মারা যাওয়ার কথা না। ওয়ার্ড মাষ্টার সময়মত অক্সিজেন রিফিল করাতে অনেক সময় না পারার কারণে কিছু টা সংকট আছে। দুই এক দিনের মধ্যে ফ্লু কর্ণারের সিলিন্ডার দেয়া সম্ভব হলে সেখানে আর সংকট থাকবে না।
খুমেক হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ মুন্সি রেজা সেকেন্দার মোবাইলে বারবার ফোন দিলেও সে রিসিভ করেনি। ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়ে রিপ্লাই পাওয়া যায়নি।

খুলনা গেজেট/এমবিএইচ




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন