করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে ঈদের পর ফের শুরু হয়েছে লকডাউন। আর কঠোরভাবে এই লকডাউন বাস্তবায়নে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সেনা সদস্যরা। ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে এই লকডাউনে মানুষকে ঘরে রাখতে কঠোর হচ্ছে প্রশাসন।
ঈদের পর লকডাউনের শুরুতেই শহরের প্রবেশপথ ও গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোড়ে বসানো হয়েছে পুলিশি চেকপোষ্ট। উপজেলার অন্তত দশটি স্থানে এমন চেকপোষ্ট বসানো হয়েছে। বিনা প্রয়োজনে রাস্তায় বের হলেই এসব চেকপোষ্টে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের সম্মুখীন হতে হচ্ছে মানুষকে। ফলে উপজেলার বিভিন্ন মোড়, হাটবাজার ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকা জনশূন্য দেখা গেছে।
মঙ্গলবার সরজমিনে শহরের বেল্টুর মোড়, তেতুলিয়া মোড়, হাসপাতাল মোড়, রিশখালি বাজার, রামনগর বটতলা, জোড়াদাহ বাজারসহ শহর ও গ্রামাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ বাজারের প্রবেশপথগুলোতে এসব পুলিশি চেকপোষ্ট বসানো হয়েছে। প্রতিটি চেকপোষ্টেই রাস্তায় বেরোনো মানুষকে পড়তে হচ্ছে ব্যাপক পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের মুখে। প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হওয়ায় ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে অসংখ্য মানুষকে। আটক করা হচ্ছে যানবাহন। চলছে জরিমানাও। আর সকাল থেকেই এসব চেকপোষ্টে ঘুরে ঘুরে তদারকি করছেন ওসি আব্দুর রহিম মোল্লা।
তিনি জানান, মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপ থেকে মানুষকে ভালো রাখতে কাজ করছেন তারা। বিনা প্রয়োজনে মানুষকে ঘরের বাইরে বের না হতে এবং করোনাভাইরাস থেকে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহবানও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
এদিকে লকডাউন বাস্তবায়নে রয়েছে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি। দিনভর ইউএনওর নেতৃত্বে চলছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। বিনা প্রয়োজনে চলাচল, মাস্ক পরিধান না করা ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখায় মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ছয় মামলায় তিন হাজার চারশ’ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। শহরের হাসপাতাল মোড়, হলবাজার, রামনগর বটতলাসহ বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এসব জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ইউএনও সৈয়দা নাফিস সুলতানা।
খুলনা গেজেট/এনএম