বাগেরহাটে ইউপি সদস্যের অত্যাচার ও অবিচারের হাত থেকে রক্ষা পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ট্রাক চালক মোঃ মাসুদ শেখ। সোমবার দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে চিতলমারী উপজেলার আড়ুয়াবর্নী মাসুদ শেখ এই সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে মাসুদ বলেন, চিতলমারী সদর ইউনিয়ন পরিষদের এক নং ওয়ার্ডের সদস্য ইব্রাহিম মুন্সি দীর্ঘদিন ধরে আমাদের পরিবারের উপর নানা ধরণের অত্যাচার ও নির্যাতন করছেন। আমার ভ্যান চালক পিতা মোঃ মোয়াজ্জেন শেখ, ছোট ভাই নসিমন চালক মিজান শেখ ও আমাকে একাধিক বার মারধর করেছেন। আমার মা মাহফুজা বেগমকেও লোক দিয়ে মারিয়েছেন তিনি। একটি নসিমন দুর্ঘটনা নিয়ে শালিসের নামে আমাদের কাছ থেকে জোরপূর্বক ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছেন। তার নিকট আত্মীয় একরাম মুন্সিকে দিয়ে আমার ও আমার বাবার নামে ফেসবুক ও অনলাইনে নানারকম আপত্তিকর কথা লেখাচ্ছেন। আমাদেরকে এলাকা ছাড়া করার জন্য নিয়মিত হুমকী-ধামকী দিচ্ছেন।এই অবস্থায় আমরা খুবই নিরাপত্তহীনতায় ভুগছি।
মাসুদ আরও বলেন, ইব্রাহিম মুন্সি শুধু আমার পরিবারকে নয় এলাকার অনেক পরিবারকে অত্যাচার নির্যাতন করেছে ইব্রাহিম মুন্সি। বিধবা-বয়স্কসহ বিভিন্ন ভাতা প্রদানের জন্য উৎকোচ গ্রহন করেন তিনি। সাম্প্রতিক কিছু যুবককে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ইব্রাহিম মুন্সি। পরবর্তীতে থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে ইব্রাহিম মুন্সি ওই টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হন। আমরা খেটে খাওয়া মানুষ, আমরা খুবই অসহায়। তারা প্রভাবশালী এবং বংশে অনেক বড় একারণে আমাদের উপর একের পর এক অত্যাচার নির্যাতন চালায়। আমরা এই প্রতিবেশীর হাত থেকে রক্ষা পেতে চাই। সেই সাথে আমার নিরহ বাবা-মাকে মারধরের বিচার চাই।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য ইব্রাহিম মুন্সি বলেন, আমার সাথে মাসুদের পরিবারের কোন ঝামেলা নেই। কিন্তু আমার বংশের একজন লোকের সাথে তাদের ঝামেলা হয়েছিল। আমার বিরুদ্ধে তারা যে অভিযোগ করেছেন তা সব মিথ্যা। আমি কোন অপরাধ করিনি।
খুলনা গেজেট/ টি আই