ঈদের বন্ধে পরীক্ষা কম হলেও করোনা সংক্রমণের হার কমেনি বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। রোববার (২৫ জুলাই) দুপুরে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, জেলাভিত্তিক শনাক্তের হিসাবে ঢাকা শীর্ষে অবস্থান করছে। ঢাকায় ইতিমধ্যে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৪ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। তারপর আছে যথাক্রমে চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, সিলেট, বগুড়া, নারায়ণগঞ্জ, খুলনা, ফরিদপুর এবং সবচেয়ে কম সংখ্যক রোগী চিহ্নিত হয়েছে রাজশাহীতে— ১৮ হাজার ৪১৬ জন। বিভাগভিত্তিক মৃত্যুর হারেও এগিয়ে আছে ঢাকা। এরপরই রয়েছে খুলনা বিভাগ।
গত ৭ দিনের সংক্রমণ পরিস্থিতি দিকে তাকালে দেখা যাচ্ছে নমুনা সংগ্রহ কম হয়েছে, সে হিসাবে পরীক্ষা হয়েছে কম। ফলে মোট রোগীর সংখ্যা কমেছে। তবে শতকরা হিসেবে সংক্রমণের হার ৩০ শতাংশের নিচে নামেনি। বরং ২৪ জুলাই ৩২ দশমিক ৫৫ শতাংশ রোগী শনাক্ত হয়েছে।
২৯তম এপিডেমিক সপ্তাহে ২৪ জুলাই পর্যন্ত ২ লাখ ২ হাজার ১১৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। আগের সপ্তাহের তুলনায় পরীক্ষার হার ২৮ দশমিক ৯৪ শতাংশ কমেছে। ঈদের বন্ধের কারণে এই সংখ্যা কমতে পারে। তবে সুস্থতার হার ১৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ বেড়েছে বলেন তিনি।
১৯ জুলাই সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটেছে ২৩১ জন। সবচেয়ে কম মারা গেছেন ২৩ জুলাই ১৬৬ জন। আর গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে শনিবার ১৯৫, শুক্রবার ১৬৬, বৃহস্পতিবার ১৮৭, বুধবার ১৭৩ ও মঙ্গলবার ২০০ জনের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ২৭৪ জনে।
২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১১ হাজার ২৯১ জন। এতে মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১১ লাখ ৬৪ হাজার ৬৩৫ জনে। এ সময় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৩৭ হাজার ৯৭২ জনের। পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৭ হাজার ৫৮৭টি। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ৩০ দশমিক ০৪ শতাংশ।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি