অবশেষে চূড়ান্ত হলো অস্ট্রেলিয়া দলের বাংলাদেশ সফর। আগামী ২৯ জুলাই পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ সফরে আসছে অস্ট্রেলিয়া। আজ বিসিবি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অস্ট্রেলিয়া সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আগামী ৩, ৪, ৬, ৭ ও ৯ আগস্ট হবে সিরিজের পাঁচটি ম্যাচ। দিবারাত্রি ম্যাচ পাঁচটির সময় এখনো নির্ধারণ করা হয়নি।
বাংলাদেশ দলও চলমান জিম্বাবুয়ে সফর থেকে ২৯ জুলাই দেশে ফেরার কথা। জিম্বাবুয়ে থেকে দেশে ফিরে বাংলাদেশ দলও সরাসরি প্রবেশ করবে ঢাকার জৈব সুরক্ষাবলয়ে।
অস্ট্রেলিয়া সফর নিয়ে যা দুশ্চিন্তা তার মূলে ছিল বাংলাদেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি। দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ডের মধ্যে আলোচনা ছিল করোনাভাইরাস মোকাবিলা এবং জৈব সুরক্ষাবলয় নিয়েই। শেষ পর্যন্ত বিসিবির জৈব সুরক্ষা বলয় পরিকল্পনায় সন্তুষ্ট হয়েই বাংলাদেশে আসছে অ্যারন ফিঞ্চের দল।
বিসিবি প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী এ ব্যাপারে বলেছেন, ‘বিসিবি ও ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে সিরিজের সূচি নির্ধারণ করতে। স্বাভাবিকভাবেই করোনার মধ্যে এটা চ্যালেঞ্জের বিষয়। যে কোনো ক্রিকেট সিরিজ আয়োজনের সঙ্গে স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা প্রাধান্য দিতে হয়। ক্রিকেটার ও ম্যাচ অফিসিয়ালসদের নিরাপত্তার জন্য যে জৈব সুরক্ষাবলয়ের পরিকল্পনা করা হয়েছে, তাতে আশা করি সবাই নিরাপদে থাকবে। আমরা আশা করছি দুই দল রোমাঞ্চকর ও উপভোগ্য ক্রিকেট উপহার দিবে।’
বাংলাদেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি খারাপ বলেই জৈব সুরক্ষাবলয়ের নিয়মও হবে খুব কড়াকড়ি। এই মুহূর্তে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে ওয়েস্ট ইন্ডিজে আছে অস্ট্রেলিয়া। ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের জৈব সুরক্ষাবলয়ে যে সুবিধা পাচ্ছে অস্ট্রেলিয়রা, সেটি বাংলাদেশে পাওয়ার আশা নেই দলটির পেসার জশ হ্যাজলউডের।
অস্ট্রেলিয়ান সংবাদ মাধ্যমে তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশ সফর কেমন হতে পারে তা নিয়ে আমাদের বেশ কয়েকবার বৈঠক হয়েছে। যতদূর শুনেছি সেখানে জৈব সুরক্ষাবলয়ে অনেক বিধিনিষেধ থাকবে। আমার মনে হয় শুধু হোটেল এবং মাঠ এই দুই জায়গায়ই যাওয়া যাবে। আমরা এর আগেও এমন বলয়ে থেকেছি, অভ্যাস আছে। তবে ভালো দিক হচ্ছে সফরটি ছোট। তাই বাড়তি কোন ঝামেলা হবে না, সফর দ্রুত শেষ হবে এবং আমরা বাড়ি ফিরব।‘
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টিম হোটেলের বাইরে যেতে পারছেন ক্রিকেটাররা। সমুদ্র ভ্রমণ, গলগ কোর্টে ঘুরতে দেখা গেছে সফরকারীদের। বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়দের ১০-১২ দিনের ঝটিকা সফরে এসব কিছুই থাকবে না।
খুলনা গেজেট/ টি আই