ঈদের দিনে চার জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে রংপুরের পাঁচজন, মেহেরপুরে তিনজন, ভোলায় একজন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে একজন এবং কুমিল্লায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো বেশ কয়েকজন।
দুপুর ২টার দিকে রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন স্থানে দুই যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৫০ জন যাত্রী। তারাগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ জানিয়েছে, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা হিমাচল পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে দিনাজপুর থেকে ছেড়ে আসা হানিফ পরিবহনের একটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে পাঁচজন ঘটনাস্থলে নিহত হন।
বিকেলে মেহেরপুরের মুজিবনগরে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে দু ‘জন একই মোটরসাইকেলের আরোহী ছিলেন। মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল হাসেম বলেন, সংঘর্ষে গাংনী উপজেলার গাড়াডোব গ্রামের রিয়াজুল ইসলামের ছেলে মুসতাকিম, মুজিবনগর উপজেলার মাঝপাড়া গ্রামের মিনারুল ইসলামের ছেলে শামীম ও একই গ্রামের শরিফুল ইসলামের ছেলে শাকিল মারা যান।
দুপরে ভোলার লালমোহনে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় মো. ফারুক (৫৫) নামের এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। লালমোহন থানা পুলিশ জানিয়েছে বাড়ি থেকে বের হয়ে সবুজবাগ এলাকায় রিকশায় করে বের হন। পরে একই এলাকার হাওলাদার বাড়ির দরজায় রিকশা থেকে নেমে ভাড়া দেয়ার সময় দ্রুতগামী একটি মোটরসাইকেল তাকে ধাক্কা দেয়। এতে গুরুতর আহত হলে স্থানীয়া তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার সোনামসজিদ এলাকায় দুটি মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে শিহাব উদ্দীন নামে এক তরুণ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও দুজন। নিহত শিহাব উদ্দীন উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের শিয়ালমারা গ্রামের আতাউর রহমানের ছেলে। আহতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি। তাদের চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা সদর দক্ষিণে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় বাবা মেয়ে নিহত হয়েছেন। তারা হলেন-চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কোমার ডোগা গ্রামের সাজেদুল হক সাজু ও তার মেয়ে খাদিজা আক্তার সাবা।