করোনাভাইরাসের কারণে এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগ পেয়েছে নতুন রূপ। মিনি টুর্নামেন্ট হয়ে যাওয়াতে কোয়ার্টার ও সেমিফাইনালে থাকছে না দুই লেগের নিয়ম। এছাড়া খেলা হবে নিরপেক্ষ ভেন্যু পর্তুগালে। ফলে স্বাগতিক হওয়ার সুযোগ নেই কারো সামনে।
এদিকে এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগে ইতিমধ্যে নেই জুভেন্টাস, রিয়াল মাদ্রিদের মতো জায়ান্টরা। আজ রাতে বায়ার্ন মিউনিখ-বার্সেলোনা থেকে বাদ পড়বে আরেক জায়ান্ট। শেষ পর্যন্ত টুর্নামেন্টে হট ফেভারিট হিসেবে টিকে থাকবে কে? বায়ার্নের পক্ষে বাজি ধরার লোকের অভাব পড়বে না। দলে গোলস্কোরার রবার্ট লেভানদোভস্কি থেকে শুরু করে থমাস মুলার এবং সার্জিও জিনাব্রিরা আছেন। অপরদিকে খুঁড়িয়ে চলা বার্সার ভার বহন করছেন মেসি।
অবশ্য মেসির পায়ের জাদুতে চ্যাম্পিয়নস লিগে ২০১৪-১৫ মৌসুমে বায়ার্নকে সেমিফাইনালে হারিয়েছিল বার্সা। তাই শেষ পর্যন্ত আজ রাতে লড়াইটা হয়ে উঠবে লিওনেল মেসি-বায়ার্ন মিউনিখের।
বায়ার্ন কোচ হান্সি ফ্লিকেরও জানা আছে এই তত্ত্ব। তাইতো ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে সরাসরি মেসিকে আটকানোর কথাই বললেন এই বায়ার্ন কোচ। তার ভাষ্যে, ‘আমরা মেসিকে আটকানোর কথা ভেবেছি। কি ভেবেছি সেটাও বলে দেই। ওর বিপক্ষে আমাদের একটা দল হয়ে খেলতে হবে। ওকে থামাতে হবে, আর চাপে রাখতে হবে।’
ফ্লিক যখন মেসিকেই বায়ার্নের একমাত্র প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখছেন, তখন বার্সা কোচ কিকে সেতিয়েন দাবি করছেন, দল হিসেবে খেলবে কাতালানরা। আর দলের শক্তিতে বিশ্বাস করেন তিনি। তবে মেসির প্রতি আলাদা এক সুর ভেসে ওঠে সেতিয়েনের কণ্ঠেও।
বার্সা এই কোচ বলেন, ‘আমি দলের শক্তির উপর বিশ্বাস করি। তবে এটা সত্যি যে, মেসি একাই গোল বানিয়ে নিতে পারে। মেসিকে বল দিয়ে সাহায্য করতে হবে।’ এদিকে কিকে সেতিয়েন দলের শক্তিতে বিশ্বাস করলেও নিশ্চিতভাবেই আজকের চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে ফেভারিট হিসেবে খেলতে নামবে বায়ার্ন।
চলতি মৌসুমে ঘরোয়া ডাবল জেতা হয়ে গেছে জার্মান চ্যাম্পিয়নদের। ২০২০ সালে খেলা ২৭ ম্যাচের একটিতেও হারেনি তারা। এদিকে দলের সেরা অস্ত্র লেভানদোভস্কি আছেন ক্যারিয়ারের সেরা ফর্মে। বুন্দেসলিগার সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন। সব প্রতিযোগিতা মিলে করেছেন ৪৪ ম্যাচে ৫৩ গোল। ইতিমধ্যে চলতি চ্যাম্পিয়নস লিগেও করেছেন সর্বোচ্চ ১৩ গোল।
মানসিকভাবে বায়ার্ন থেকে তাই অনেকটাই পিছিয়ে থাকবে বার্সেলোনা। এছাড়া এই ম্যাচে আন্ডারডগ হিসেবে খেলতে নামা কাতালানরা এবার জেতেনি কোনো শিরোপাও। মেসিও বল পায়ে নেই আগের ছন্দে। সুয়ারেজ, গ্রিজম্যানরা হয়ে আছেন তাদের ছায়া হয়ে।
তবে অদম্য বায়ার্নের সামনে শেষ পর্যন্ত বার্সার আশার আলো হয়ে থাকবেন মেসিই। নিজেদের শেষ ম্যাচে নাপোলির বিপক্ষে মেসি জাদুতে বিমোহিত ছিল ফুটবল বিশ্ব। সেই জাদু অব্যাহত থাকলে ২০১৫ সালের ন্যূ ক্যাম্প আবার ফিরতে পারে পর্তুগালের লিসবনে।
খুলনা গেজেট/এএমআর