বাংলাদেশ ব্যাংকসহ খুলনার ১’শ প্রতিষ্ঠান অগ্নি নির্বাপণে ঝুঁকিপূর্ণ বলে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সতর্ক করে দিয়েছে। অগ্নিকান্ড ঘটলে এসব প্রতিষ্ঠানে দমকলবাহিনী দ্রুত আগুন নেভাতে পারবে না। প্রাণহানি এড়াতে ৯ দফা পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেছে।
ফায়ার ব্রিগেড ও সিভিল ডিফেন্স’র পক্ষ থেকে জরিপের পর খুলনা ও সাতক্ষীরার পর ১’শ ভবন অগ্নিকান্ডে ঝুঁকিতে বলে চিহ্নিত করেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ঝুঁকি হিসেবে যুক্তি দেখানো হয়েছে বিকল্প সিঁড়ি নেই, ইমার্জেন্সী লাইটিং নেই, নির্বাপক ও উদ্ধারযন্ত্র নেই, প্রশিক্ষিত বাহিনী নেই, এবং রিফিউজি নেই।
ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো হচ্ছে খুলনার বাংলাদেশ ব্যাংক, সোনাডাঙ্গার ডেল্টা লাইফ টাওয়ার, ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ভবন, ট্রিবিউন টাওয়ার, সিটি ট্রেড, সোনাডাঙ্গার হোটেল সিটি ইন, নিরালা টাওয়ার, আব্দুল জব্বার মোল্লা টাওয়ার , মাতৃভাষা টাওয়ার, দৌলতপুরের শেখ মজনু টাওয়ার, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল, জেনারেল হাসপাতাল, শিশু হাসপাতাল, মিরেরডাঙ্গা বক্ষব্যাধি হাসপাতাল, বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতাল, সংক্রমণ ব্যাধি হাসপাতাল, নার্গিস মেমোরিয়াল হাসপাতাল, ফরটি’স এসকটস হার্ট ইনস্টিউটিউশন, আদ-দ্বীন আকিজ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ইসলামি ব্যাংক হাসপাতাল, সুরক্ষা হাসপাতাল, যোহরা মেমোরিয়াল হাসপাতাল, ইউনাইটেড হাসপাতাল, স্পেশালাইজড হাসপাতাল, বয়রা ক্লিনিক, কিওর হোম, প্রাইম ক্লিনিক, রাশিদা মেমোরিয়াল, রাইসা ক্লিনিক, ল্যাব-এইড, খালিশপুর ক্লিনিক, ফেয়ার হেলথ ক্লিনিক, মনিষা নার্সিং হোম, অঙ্কুর ডায়াগনস্টিক, ফাতেমা হাসপাতাল, গুড- হেলথ ক্লিনিক, পেশেন্ট নার্সিং হোম, সূর্যের হাসি, পিরামিড ক্লিনিক, ফুলতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, রূপসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, তেরোখাদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ডুমুরিয়ার বরুনা খোরশেদ আলী মেমোরিয়াল হাসপাতাল, চুকনগর মেডিকেল সেন্টার, দলিত হাসপাতাল, বটিয়াঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ডুমুরিয়া নার্গিস সার্জিকাল ক্লিনিক, ডুমুরিয়া জনসেবা ক্লিনিক, ডুমুরিয়া জনতা ক্লিনিক।
এছাড়া সোনালী ব্যাংক, হোটেল রয়্যাল ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে হাইডেন্ট এলার্মিং সিস্টেম নেই। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের খুলনা বিভাগীয় উপ-পরিচালক মোঃ কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া তথ্য দিয়েছেন, পরিদর্শকদের জরিপের এসব প্রতিষ্ঠানকে ঝুঁকিপুর্ণ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। ফায়ার সেফটি প্লানের পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক নুরুল-আল-রাজিব জানান, এসব প্রতিষ্ঠানে বিকল্প সিঁড়ি নেই। পর্যাপ্ত ফায়ার ফাইটিং ব্যাবস্থা না থাকায় অগ্নিকান্ডে জীবনহানি হতে পারে। আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে কারিগরী জটিলতা বেশি। তিনি বলেন, ঝুঁকি সম্পর্কে সব প্রতিষ্ঠান ও মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এনএম