বাংলাদেশের অন্যতম অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘খুলনা গেজেট’ ১৩ জুলাই দ্বিতীয় বর্ষে পদার্পণ করল। যা স্বাধীন বাংলাভাষী রাষ্ট্র বাংলাদেশের সীমানা অতিক্রম করে পশ্চিমবঙ্গ সহ পূর্বভারতের মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশ ও ভারতের বাংলাভাষী পাঠক ছাড়িয়ে সমগ্ৰ বিশ্বের বাংলাভাষীদের কাছে প্রতিদিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
এমন একটা দিনে তার জন্মদিন যেদিন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ভাষাতত্ববিদ ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ-র প্রয়াণ দিবস, এই ১৩ জুলাই। অবশ্য ১০ জুলাই শহীদুল্লাহ-র জন্মদিন ছিল। ভাষা আন্দোলন যদি হয় বাংলাদেশ গঠনের প্রধান ভীত, তাহলে ব্রিটিশ ভারতে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করা ও বাংলা ভাষা আন্দোলনের স্বপ্নদ্রষ্টা ছিলেন শহীদুল্লাহই।
‘খুলনা গেজেট’ তার সেট আপ, মেক আপ, লে-আউট, অঙ্গসজ্জা সব দিকেই তার মুন্সিয়ানা দেখাচ্ছে। জাতীয় সংবাদ, বিশ্ব সংবাদ, প্রতিবেশী রাষ্ট্রের খবর, বাংলাভাষী মানুষের ইতিহাস-ঐতিহ্য নিয়ে প্রতিবেদন, প্রবন্ধ-নিবন্ধ নিয়ে সে আজ পাঠকের দরবারে। বিনোদন, সাংস্কৃতিক খবর, সাহিত্য ও বাংলাদেশের প্রতিটি বিভাগের খবর নিয়ে ‘খুলনা গেজেট’ আজ পাঠকের দরবারে।
বাংলাদেশের দুই রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জিয়াউর রহমানের ছাত্রজীবন কেটেছে কলকাতায়। সেই ইতিহাস-ঐতিহ্য নিয়েও সুন্দর প্রতিবেদন প্রকাশ করে চলেছে খুলনা গেজেট।
‘খুলনা গেজেট’ বাংলা ও বাঙালি জাতীয়তাবাদ এবং জাতীয়তাবোধের আরেক অন্যতম উত্তরসূরী। তাই বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জাতীয়-আন্তর্জাতিক কবি কাজী নজরুল ইসলামের এক মহান আদর্শকে পাথেয় করে চলছে। খুলনা গেজেট যেখান থেকে প্রকাশিত হচ্ছে তার অনতিদূরেই কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতৃভূমি বা জন্মভূমি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’ আজ বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত। আবার জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ‘চল চল চল’ আজ সেদেশের রণসঙ্গীত বা যুদ্ধ সঙ্গীত। আবার এই নজরুল বাংলাকে নিয়ে লিখেছেন ‘নম: নম: সুন্দরী মম জননী বঙ্গভূমি’।
আমাদের আছেন লালন ফকির, আছেন পল্লীকবি জসীমউদ্দীন, আছেন রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশ। আমাদের আছেন হাসন রাজা। আউল-বাউলের দেশ এই বাংলা। কী নেই এই বাংলায়? রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশের সেই বক্তব্য, “বাংলার মুখ দেখিয়াছি আমি তাই পৃথিবীর রূপ খুঁজিতে চাহিনাকো আর” । খুলনা গেজেটের দর্পনে গোটা বিশ্বকে দেখার বার বার অঙ্গিকার করি। ধানসিড়ি-রূপসা-কীর্তনখোলা-পদ্মা-মেঘনা-যমুনার ধারক বাহক খুলনা গেজেট আগামী দিনে পাঠককে অনেক কিছুতেই সমৃদ্ধ করবে।
আমরা আশাবাদী। আশাতেই আমরা ঘর বাঁধি। বাংলাদেশ আজ ডিজিটেল বাংলায় পথ দেখাচ্ছে। খুলনা গেজেট তারই যথার্থই ধারক ও বাহক। বিগত এক বছর যাবৎ এক অতিমারি বা করোনা মহামারি সমগ্ৰ বিশ্বকে বিপন্ন করে তুলেছে। সমস্ত বিপন্নতাকে কাটিয়ে খুলনা গেজেট এগিয়ে চলেছে। খুলনা গেজেট দীর্ঘজীবি হোক।