বাগেরহাটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ২০টি স্থায়ী গরুর হাট চালু করার অনুমতি দিয়েছে জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই অনুমতি দেওয়া হয়। অনুমতি প্রদানের দিনেই কিছু হাটে গরু ক্রয়-বিক্রয় শুরু হয়েছে। তবে ক্রেতা-বিক্রেতার সংখ্যা খুবই কম ছিল।
বাগেরহাট জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বাগেরহাট জেলার ২০টি স্থায়ী হাটে গরু ক্রয়-বিক্রয়ের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। হাটগুলোর মধ্যে বাগেরহাট সদর উপজেলা, কচুয়া, ফকিরহাট, মোল্লাহাট, চিতলমারী, শরণখোলা এই ৬টি উপজেলায় দুটি করে হাট রয়েছে। এছাড়া মোরেলগঞ্জে ৬টি এবং রামপাল ও মোংলায় একটি করে স্থায়ী হাটে গরু ক্রয় বিক্রয়ের অনুমতি প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে রামপাল উপজেলার ফয়লাবাজার গরুর হাটে এবং কচুয়ার বাধাল বাজারেও পশু ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে। ক্রেতা-বিক্রেতার সংখ্যা খুবই কম ছিল।
ফয়লাবাজার পশুরহাট পরিচালনা ভিজিল্যান্স টিমের সদস্য হাওলাদার জুলফিকার আলী ভুট্টো বলেন, আমরা স্বাস্থ্য বিধি মেনে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী হাট বসিয়েছি। তবে আজ প্রথম দিন হাটে ক্রেতা-বিক্রেতা খুবই কম ছিল। আমাদের হাটে যারা এসেছে সবাই যাতে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলে আমরা সেজন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।
রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কবীর হোসেন বলেন, সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে মুখে মাস্ক ব্যবহার করে হাটে ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। স্যানিটাইজ করার জন্য এখানে পর্যাপ্ত সামগ্রী রয়েছে ৷ বাজার কমিটির পক্ষ থেকে এখানে ভলান্টিয়ার দেওয়া হয়েছে ৷ তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেনাবেচা নিশ্চিত করছেন। উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরে একটি ভেটেরনারি মেডিকেল টিম , জাল টাকা শনাক্ত করার জন্য সোনালী ব্যাংকের একজন অফিসার, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর একজন ডাক্তার, পুলিশ আনসার সদস্য, গ্রাম পুলিশ এখানে সার্বক্ষনিক নিয়োজিত আছেন ৷ স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাটে আসার জন্য খামারী ও ক্রেতাদের অনুরোধ জানান তিনি।
বাগেরহাট জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোঃ লুৎফার রহমান বলেন, জেলার ৯টি উপজেলায় স্থায়ী ২০টি হাট পরিচালনার জন্য অনুমতি দিয়েছেন জেলা প্রশাসন। এছাড়াও খামারীদের পালিত পশু বিক্রির জন্য আমাদের অনলাইট হাট চালু রয়েছে। কোরবানির আগ মুহুর্তে কিছু অস্থায়ী হাটের অনুমতির বিষয়ে চিন্তা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ আজিজুর রহমান বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশুর হাটের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান তিনি।
খুলনা গেজেট/ টি আই