একমাত্র টেস্ট শেষে এবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ দল। দুই দলের এই লড়াই শুরু হবে আগামী ১৬ জুলাই প্রথম ওয়ানডের মধ্য দিয়ে। তার আগে নিজেদের প্রস্তুত করার মিশনে আজ (বুধবার) একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে মাঠে নেমেছিল সফরকারীরা। যেখানে ব্যাটসম্যানরা যেমন রানের দেখা পেয়েছেন, নিজেদের ঝালিয়ে নিয়েছেন বোলাররাও।
এদিন হারারের তাকাসিঙ্গা স্পোর্টস ক্লাব মাঠে আগে ব্যাট করে ২৯৬ রান তুলে বাংলাদেশ দল। যদিও শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি ১০ ওভার বাকি থাকতেই অমীমাংসিতভাবে শেষ হয়। তবে বাংলাদেশ দলের বোলাররা নিজেদের প্রস্তুত করার ভালো সুযোগ পেয়েছেন। যদিও জিম্বাবুয়ের ইনিংসের প্রথম ওভারেই বল করতে গিয়ে অস্বস্তি দেখা দেওয়ায় মাঠ ছাড়েন পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। জানা যায় গোড়ালিতে ব্যথা পেয়েছেন তিনি।
তবে জিম্বাবুয়ে থেকে নির্বাচক আব্দুর রাজ্জার ঢাকা পোস্টকে জানিয়েছেন, মুস্তাফিজের চোট বড় কিছু নয়। ঝুঁকি মুক্ত রাখতে তাকে তুলে নেওয়া হয়। জিম্বাবুয়ে এদিন ব্যাট করে ৪০ ওভার ১ বল। যেখানে ৭ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ১৮৯ রান তুলতে পারে তারা। বাংলাদেশের হয়ে সাকিব আল হাসান অবশ্য এই ম্যাচে বল করেননি। আফিফ হোসেন, তাইজুল ইসলামরা স্পিনে সুবিধা করতে না পারলেও ২ উইকেট নিয়েছেন মোসাদ্দেক।
এদিন তাসকিন আহমেদও বল করেননি। পেসার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের শিকার ২ উইকেট। ৭ ওভার বল করে ৩৯ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছেন শরিফুল ইসলাম। ওয়ানডে দলের স্কোয়াডে না থাকলেও আলো কেড়েছেন এবাদত হোসেন। রুবেল, তাসকিনদের অনুপস্থিততে বল করতে নেমে ৭ ওভার ১ বলে ৩৭ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন তিনি।
জিম্বাবুয়ের হয়ে অপরাজিত মারুম খেলেন সর্বোচ্চ ৫৯ রানের ইনিংস। ডিওন মেয়ার্স আউট হন ৪২ রান করে।
এর আগে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন সফরকারী দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। হাঁটুর ইনজুরির কারণে একমাত্র টেস্ট খেলতে পারেননি। এখনও শঙ্কা না কাটলেও অন্তত ওয়ানডে সিরিজটি খেলতে চান তামিম। ফিটনেস পরখ করতে প্রস্তুতি ম্যাচের দিকে তাকিয়ে ছিলেন বাঁহাতি ওপেনার। তাতে সফলই বলতে হবে তামিমকে। অস্বস্তি ছাড়াই প্রায় ১০ ওভার ব্যাট করেছেন।
এদিন তামিম একাই খেলেছেন ৬২ বল। ফিফটি পূর্ণ করে ৬৬ রান করে আউট হন তামিম। যেখানে ১১টি চারের সঙ্গে ছক্কা মারেন ১টি। তব তামিম যতটা সাবলীল ছিলেন, তারে ওপেনিং পার্টনার নাঈম শেখ ততটাই খোলসবন্দি ছিলেন। ২৫ রান করে আউট হন ৫২ বল খেলে।
লিটন ২ রানে কাটা পড়েন। সাকিব অবশ্য বড় রানের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, তবে এ যাত্রায় ব্যর্থই বলতে হবে তাকে। আউট হন ৩৭ রান করে। যেখানে ৬০টি বল খেলে মাত্র একটি বাউন্ডারি আসে তার ব্যাট থেকে। মোহাম্মদ মিঠুন ৩৯ ও মোসাদ্দেক সৈকত ৩৬ রান করে স্বেচ্ছায় অবসরে যান বাকি ব্যাটসম্যানদের অনুশীলনের সুযোগ করে দিতে।
শেষদিকে দ্রুত রান তুলতে গিয়ে আফিফ থামেন ২৮ করে। ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেলেও নুরুল হাসান সোহান নামেন লেজের দিকে। ১২ বলে ১৮ রান করেন তিনি। সঙ্গে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের ১০ বলে অপরাজিত ১২ রানের কল্যাণে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ২৯৬ রান। সবে মিলিয়ে ব্যাটিং অনুশীলন একেবারেই মন্দ হলো না সফরকারীদের।