দুই বছর আগে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সঙ্গে যুক্ত হন কোচ নাভিদ নেওয়াজ। প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর যুবা টাইগারদের আকাশ ছোঁয়া সাফল্য এনে দেন এই শ্রীলঙ্কান। প্রথমবারের মতো অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হাত ধরে বাংলাদেশকে দেন শিরোপার স্বাদ।
লঙ্কান কোচ নাভিদ নেওয়াজের সঙ্গে বিসিবির চুক্তি ছিলো বিশ্বকাপ পর্যন্ত। তবে দলকে সর্বোচ্চ সাফল্য উপহার দেওয়াতে মেয়াদ বেড়েছে লঙ্কান এ কোচের।
তবে আগামী ২২ আগস্ট থেকে শুরু হতে যাওয়া ক্যাম্পে পাওয়া যাবে না দলের বিদেশী কোচদের। দেশী কোচদের তত্বাবধায়নে বিকেএসপিতে ৪৫ ক্রিকেটারকে নিয়ে চার সপ্তাহের ক্যাম্প হবে।
এই ক্যাম্পের কোচিং প্যানেলটিও বেশ বড় এবং তারকা সম্পন্ন। ক্যাম্পে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ব্যাটিং কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন জাতীয় দলের সাবেক ওপেনার ও বিসিবির গেম ডেভলেপমেন্ট কোচ মেহরাব হোসেন অপি। টাইগার দলের সাবেক এই ক্রিকেটার এর আগে জাতীয় ক্রিকেট লিগে ঢাকা বিভাগের কোচিংয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন।
দলের বোলিং কোচের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জাতীয় দলের সাবেক পেস বোলার তালহা জুবায়েরকে। মাশরাফির সাবেক এই সতীর্থও বেশ কিছুদিন ধরে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে কোচিং করাচ্ছেন। সর্বশেষ জাতীয় ক্রিকেট লিগে ঢাকা মেট্টোর কোচও ছিলেন দীর্ঘদেহী সাবেক এই পেসার।
দলের ফিল্ডিং কোচের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে জাতীয় দলের সাবেক উইকেটরক্ষক ব্যটসম্যান মোঃ সেলিমকে। বেশ কয়েক বছর ধরে কোচিং পেশার সাথে যুক্ত আছেন সেলিমও। বিসিবির ঢাকা মেট্টোর গেম ডেভলেপমেন্টের কোচ তিনি। একই সঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরে জাতীয় ক্রিকেট লিগে ঢাকা বিভাগের কোচর দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।
নতুন এই দায়িত্বকে চ্যালেঞ্জিং মনে করছেন মোঃ সেলিম। তিনি বলেন, ‘সর্বশেষ দলটি বিশ্বসেরা, আমাদের উপর তাই চাপ থাকবে। তবে এটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিচ্ছি। আশা করছি সেই চ্যালেঞ্জ জয় করতে পারবো। গেম ডেভলেপমেন্টে কাজ করার সুবাদে ক্যাম্পের অধিকাংশ খেলোয়াড়ের সঙ্গেই পরিচয় আছে। তাদের সম্পর্কে জানাও আছে। সব মিলিয়ে নতুন এই চ্যালেঞ্জটা উপভোগ করতে চাই এবং জয় করতে চাই।’
খুলনা গেজেট/এএমআর