হারারেতে সিরিজের একমাত্র টেস্টে জিম্বাবুয়েকে ৪৭৭ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে দলকে রানের পাহাড়ে চড়তে সাহায্য করেছেন দুই ব্যাটসম্যান সাদমান ইসলাম এবং নাজুমল হোসেন শান্ত। দুজনই হাঁকিয়েছেন সেঞ্চুরি। তবে দিনের খেলা শেষে শান্ত জানালেন, সেঞ্চুরি করার কোন পরিকল্পনাই নাকি ছিল না তার।
সাদমান ব্যাটিং শুরু করেছিলেন তৃতীয় দিন বিকেলে। দিন শেষ করেন ২২ রান করে অপরাজিত থেকে। চতুর্থ দিন সকাল থেকে এগিয়ে যান একই নির্ভরতায়। তিনে নামা শান্ত যখন উইকেটে যান, সাদমান তখন হাফ সেঞ্চুরির কাছে। এরপর দুজনের জুটিতে দ্রুত বাড়তে থাকে বাংলাদেশের রান।
সাদমান ৯ চারে ১৯৬ বলে ১১৫ করে অপরাজিত থেকে যান। ইনিংস ঘোষণার তাঁড়ায় শান্ত খেলতে থাকেন বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে। ৫ চার ও ৬ ছক্কায় এক সময় তার নামের পাশে ১১৮ বলে ১১৭ রান, সেঞ্চুরি ছোঁন মাত্র ১০৯ বলে। পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলতে গিয়েই পরিকল্পনাহীন সেঞ্চুরি পেয়েছেন শান্ত। ম্যাচ শেষে ভিডিও বার্তায় জানালেন সে কথা।
শান্ত বলেন, ‘ব্যাটিংয়ে দুইজন দুইজনকে সহায়তা করছিলাম, কীভাবে খেলা উচিৎ বা কীভাবে আগাবো। এটা আমাদের জন্য ইতিবাচক ছিল। একশ নিয়ে কেউই চিন্তা করিনি। পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করেছি। মূল মনোযোগ ছিল বল বাই বল খেলার।’
তিনি আরো বলেন, ‘দিনশেষে দুইজনই বড় স্কোর পেয়েছি আলহামদুলিল্লাহ। আগে থেকে কোনো পরিকল্পনা ছিল না যে অনিক ভাই একশ করেছে তাই আমারও করতে হবে। এমন কোনো কিছুই ছিল না। আমরা শুধু বল দেখেছি আর খেলেছি।’
ক্যারিয়ারে এটি শান্তর দ্বিতীয় সেঞ্চুরি হলেও এর আগের সেঞ্চুরিটি করেছিলেন এ বছরই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। যেটি ছিল তার ক্যারিয়ারের প্রথম। এরপর ৪ ইনিংস ব্যাট করলেও ৩০ এর কোঁটা পূরণ করতে পারেননি। শান্ত তাই জানালেন অতীত ভুলে গিয়ে ইতিবাচক ব্যাট করাই ছিল তার লক্ষ্য।
এ প্রসঙ্গে সেই ভিডিও বার্তায়তিনি বলেন, ‘আমি সবসময় বর্তমানে থাকার চেষ্টা করি। আগের চার ইনিংস খারাপ হয়েছে, ক্রিকেট খেলায় এমন হতেই পারে। কিন্তু অবশ্যই আমার চেষ্টা থাকে ধারাবাহিকভাবে রান করার।
সব শেষে তিনি আরো বলেন, ‘অতীত নিয়ে খুব বেশি চিন্তা করি না। আজকের ব্যাটিং নিয়েই চিন্তা করেছি। আজকের পরিস্থিতিই এমন ছিল যে দ্রুত খেলতে পারলে জেতার জন্য সময় বেশি পাব। এজন্যই পরিকল্পনাই ছিল পজিটিভ ব্যাটিং করার।’