যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে যারা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের বেশিরভাগই আক্রান্ত হচ্ছেন এ ভাইরাসের অতিসংক্রামক ডেল্টা স্ট্রেইনে। বর্তমানে আক্রান্তের ৫১ শতাংশের বেশির জন্য দায়ী করোনার এ ভ্যারিয়েন্ট। সেন্টারস ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) এ তথ্য দিয়েছে।
বি.১.৬১৭.২ নামেও পরিচিত এ ভ্যারিয়েন্টটি প্রথম পাওয়া গিয়েছিল ভারতে। আর এখন এটি অল্প সময়ের মধ্যেই অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে পড়ছে। মিসৌরি, কানসাস এবং আইওয়া রাজ্যে নতুন সনাক্তের ৮০ শতাংশেরও বেশির জন্য দায়ী ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট।
এছাড়া পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো যেমন উতাহ ও কলোরাডোতে ইত্যেমধ্যে ৭৪.৩ শতাংশ সংক্রমণ ঘটেছে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে।
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের আগে যে ভ্যারিয়েন্টটি যুক্তরাষ্ট্রে বেশি সংক্রমণ ছড়িয়েছে সেই আলফা ভ্যারিয়েন্টে এখন সংক্রমণ হার ২৮.৭ শতাংশ।
এ বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসের পরিচালক ডা. অ্যান্থনি ফাউসি বলছেন, করোনার টিকা নেওয়ার যদি কোনো একটি কারণের কথা বলতে হয়, তাহলে এটি একটি।
তিনি আরও বলেন, যারা টিকা নেননি এ ভ্যারিয়েন্ট তাদের জন্য বড় হুমকির কারণ হতে পারে। করোনার এ ভ্যারিয়েন্টটি শুধু আগের চেয়ে বেশি সংক্রামকই নয়, এটা আক্রান্ত ব্যক্তিকে আগের চেয়ে বেশি অসুস্থও করে দেয়।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আগামী আরও কয়েক সপ্তাহ যুক্তরাষ্ট্রে এভাবেই দাপট দেখাবে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট।
এদিকে করোনা ভাইরাসের টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ১৪ দিন পর করোনায় আক্রান্ত হওয়া ছয়জনকে পাওয়া গেছে যুক্তরাষ্ট্রে। এদের ‘ব্রেকথ্রু’ কেস বলা হচ্ছে।
তবে এ সংখ্যা যেহেতু মাত্র ৬ জন তাই এটাকে বড় কিছু মনে না করার পেছনেও মত রয়েছে।
সিডিসির তথ্য অনুযায়ী, ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সী প্রতি পাঁচ শিশুর একজনকে টিকার পুরো ডোজ দেওয়া হয়েছে। ১৬ থেকে ১৭ বছর বয়সী প্রতি তিনজনে একজন টিকা পেয়েছে।
করোনা ভাইরাসের ভ্যারিয়েন্টগুলো নিয়ে বিশ্লেষণের কাজ করছেন এমন একজন চিকিৎসক বলছেন, এপ্রিলের শেষদিকে তারা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত চারজনকে পেয়েছিলেন।
এতে মানুষ আগের চেয়ে বেশি অসুস্থ হচ্ছে ও যারা মূলত করোনার টিকা নেননি তারাই এ ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন বলেও মনে করেন তিনি।
খুলনা গেজেট/ টি আই