হাইতির প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোউস অজ্ঞাত বন্দুধারীদের গুলিতে নিজ বাড়িতে নিহত হয়েছেন। দেশটির অন্তবর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী প্রেসিডেন্টের মৃত্যুর খবরটি জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী ক্লদ জোসেফ জানান, স্থানীয় সময় রাত ১টায় হাইতির রাজধানী পোর্ট অফ প্রিন্সে প্রেসিডেন্টের বাড়িতে অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা ওই হামলা চালায়।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, হামলায় দেশটির ফার্স্ট লেডিও আহত হয়েছেন।
জোভেনেল রাজধানী পোর্ট অফ প্রিন্সে নিজ বাড়িতে ছিলেন।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে প্রধানমন্ত্রী জোসেফকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, গভীর রাতে হামলার পরপরই সেনাবাহিনী ও পুলিশ ওই এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। তবে সেখানে বেশ কিছু সময় ধরে গুলির শব্দ শোনা গেছে।
তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট নিহত হলেও দেশের নিরাপত্তা অক্ষুন্ন রেখে অন্য সব কার্যক্রম চলমান থাকবে।
হাইতির বর্তমান পরিস্থিতিতে সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, নিরাপত্তারজনিত কারণে তারা দূতাবাস বুধবার থেকে বন্ধ করার কথা জানায়।
এর আগে ৩০ জুন দেশটি এক বিবৃতিতে হাইতিতে সহিংসতা, মানবাধিকার লঙ্ঘন, মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা দেয়ার আহ্বান জানায়। সেই সঙ্গে দেশটিতে গড়ে ওঠা বিভিন্ন গ্যাং ও সন্ত্রাসী গ্রুপকে নিয়ন্ত্রণে সরকারকে কাজ করার আহ্বান জানায় যুক্তরাষ্ট্র।
হাইতিতে এর আগে প্রেসিডেন্ট মিশেল মার্টেলির পদত্যাগের পর ৫৩ বছর বয়সী জোভেনেল মোউস ২০১৭ সালে ক্ষমতায় আসেন।
মোউসের দেশটির ক্ষমতায় থাকলেও বেশ কিছু সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ছিল। সেই সঙ্গে দেশটিতে তার বিরুদ্ধে সহিংস বিক্ষোভও চলছিল।
চলতি বছরের শুরু থেকে রাজধানী ও অন্য শহরগুলোতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। সেখান থেকে জনগণ তার পদত্যাগ দাবি করে আসছিলেন।
হাইতির বিরোধীরা বলেন, মোউসের পাঁচ বছরের ক্ষমতার মেয়াদ শেষ হয়েছে চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি। মার্টেলির পদত্যাগের পর তার পাঁচ বছর অতিক্রম হয়েছে।
তবে প্রেসিডেন্টের দাবি ছিল, তিনি ২০১৭ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি ক্ষমতা নেয়ায় আরও এক বছর তার ক্ষমতার মেয়াদ ছিল।
দরিদ্রপীড়িত দেশটিতে রাজনৈতিক সহিংসতা লেগেই ছিল।
আগের প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় ২০১৫ সালে নির্বাচনের কথা ছিল। কিন্তু সহিংসতা ও ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠলে তা বাতিল হয়। পরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে মোউস জয় পান।
খুলনা গেজেট/ টি আই