জিম্বাবুয়েকে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে (৩-০) হোয়াইটওয়াশ করার মধ্য দিয়ে ইতিহাস গড়ল পাকিস্তান। আফ্রিকার দক্ষিণ অঞ্চলের এ দেশটির বিপক্ষে টি-টোয়েন্টির সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে ২০০৮ সাল থেকে একক আধিপত্য বিস্তার করে যাচ্ছে পাকিস্তান। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এ পর্যন্ত ১৪ ম্যাচ খেলে সবকটিতে জয় পেয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। শুধু তাই নয়, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ১৪ ম্যাচ জয়ের ইতিহাসন গড়েছে পাকিস্তান। ইমরান খানের উত্তরসূরীরা টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। অসিদের বিপক্ষে পাকিস্তান জয় পায় মাত্র ১২ ম্যাচে। আর নিউজিল্যান্ড ও শ্রীলংকার বিপক্ষে ২১টি করে ম্যাচ খেলে জয় পায় সমান ১৩টিতে।
মঙ্গলবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডিতে জয়ের মধ্য দিয়ে কোনো নির্দিস্ট দলের বিপক্ষে সর্বোচ্চ জয় পেল পাকিস্তান। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তান শতভাগ জয়ী। পরপর দুই ম্যাচে জিতে আগেই টি-টোয়েন্টি ট্রফি নিশ্চিত করে স্বাগতিক পাকিস্তান। এদিন ৮ উইকেটের বিশাল জয়ে জিম্বাবুয়েকে মগজধোলাই করল বাবর আজমরা। এর আগে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে জিতে পাকিস্তান।
মঙ্গলবার রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে উসমান কাদেরের লেগ স্পিনে বিভ্রান্ত হয়ে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। সময়ের ব্যবধানে উইকেট পতনের কারণে ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৯ রানের বেশি করতে পারেনি সফরকারীরা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩১ রান করেন অধিনায়ক চামু চিবাবা। এছাড়া ২২ বলে ২৮ রান করেন ডোনাল্ড তিরিপানো। পাকিস্তানের হয়ে ৪ ওভারে মাত্র ১৩ রানে ৪ উইকেট শিকার করেন লেগ স্পিনার উসমান কাদির। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলেতে নেমে দুর্দান্ত বোলিং করেন ২৭ বছর বয়সী লাহোরে জন্মনেয়া এ ক্রিকেটার।
১৩০ রানের মামুলি স্কোর তাড়া করতে নেমে ওপেনার ফখর জামান ও তিনে ব্যাটিংয়ে নামা হায়দার আলীর উইকেট হারিয়ে ১৫.২ ওভারে জয়ের বন্দরে নোঙর ফেলে পাকিস্তান। দলের জয়ে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন তরুণ ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক। আর্ন্তাজিতক ক্রিকেটে নিজের অভিষেক ম্যাচে ৩৩ বলে ৪টি টার ও এক ছক্কায় অপরাজিত ৪১ রানের ইনিংস খেলেন শফিক।
এছাড়া ১৫ বলে তিন চার ও তিন ছক্কায় ৩৬ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন খুশদিল শাহ। ২০ বলে ২৭ রান করে আউট হন হায়দার আলী। অন্য ওপেনার ফখর জামান করেন ২৪ বলে ২১ রান।
খুলনা গেজেট/এএমআর