বাগেরহাটের ঐতিহ্যবাহী খান জাহান মাজারে চাঁদাবাজিতে বাধা প্রয়োগ করায় প্রধান খাদেম শের আলী ফকিরের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে কোহিনুর ইসলাম রুহি নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাত ৯ টার দিকে মাজারের সামনে এই হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় আহত শের আলী ফকির বাগেরহাট ২৫০ শয্যার বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
অভিযুক্ত কোহিনুর ইসলাম রুহী ফকির খান জাহান (রহ) এর মাজার এর খাদেম বাচ্চু ফকিরের ছেলে।
প্রধান খাদেম শের আলী ফকির বলেন, চৈত্র মাসের পূর্ণিমা উপলক্ষে বিভিন্ন জায়গা থেকে লোকজন এসেছে। অনেক লোকের সমাগম হওয়ায় কিছু অতিরিক্ত দোকানও বসেছে। স্থানীয় রুহি ফকির অনৈতিকভাবে জোরপূর্বক চাঁদাবাজি করছিল। দোকান মালিকরা অভিযোগ করলে মেলা প্রাঙ্গনে গিয়ে রুহিকে চাঁদাবাজি করতে নিষেধ করি। এ সময় রুহি ফকির এবং তার চাচা নজরুল ফকির আমার উপর উত্তেজিত হয়ে যায়। রুহি ফকির আমার মুখে এবং বুকে আঘাত করে, আমি তখন অজ্ঞান হয়ে পড়ে যাই। পরবর্তীতে স্থানীয়রা আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করে।
আহত শের আলী ফকিরের ছেলে ফকির তাজ আলী বলেন, আমার বাবা খানজাহান মাজার এর প্রধান খাদেম হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। স্থানীয়রা তাকে অনেক সম্মান করেন। খানজাহান আলীর মাজারে আগত দর্শনার্থীদের সম্মান ও নিরাপত্তার জন্য বাবা সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছিলেন। জোরপূর্বক চাঁদাবাজিতে বাধা প্রয়োগ করায় আমার বাবার উপর এই হামলা করা হয়েছে। আমরা এর বিচার চাই।
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম সাইদুর রহমান বলেন, হামলার বিষয়টি মাজারের খাদেম শের আলী ফকির আমাদের জানিয়েছে। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এদিকে ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত রুহী ফকির আত্মগোপনে রয়েছে।তার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
খুলনা গেজেট /কেডি