ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র প্রভাব কাটতে না কাটতেই বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও ভারতের দিকে ধেয়ে আসছে আরও একটি ঘূর্ণিঝড়। এরই মধ্যে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের কাছে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এটি ক্রমেই শক্তিশালী হচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, দক্ষিণ আন্দামান সাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার নাগাদ এটি সুস্পষ্ট লঘুচাপে রূপ নেবে। এরপর আরও ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এরপরই এটি ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে পারে।
আর ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে এর নাম হবে ‘মিগজাউম’, এ নামটি মিয়ানমারের দেয়া।
আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এখনও এর গতি-প্রকৃতি ও অবস্থান স্পষ্ট নয়। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। দু’একদিনের মধ্যেই সব পরিষ্কার হয়ে গেলে সে অনুযায়ী আবহাওয়ার সতর্কবার্তা দেয়া হবে।
ভারতের সরকারি আবহাওয়া বিভাগ ইন্ডিয়া মেটিওরোলজিকাল ডিপার্টমেন্ট (আইএমডি) তাদের সবশেষ পূর্বাভাসে বলেছে, ২ ডিসেম্বর নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ের রূপ পেতে পারে এবং বাংলাদেশ, মিয়ানমার বা ভারতের ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে।
এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়। এরপর সেটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে গত ১৭ নভেম্বর দুপুরে ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার গতির বাতাসের শক্তি নিয়ে খেপুপাড়ার কাছ দিয়ে উপকূলে আঘাত হানে। তাতে গাছপালা ও ফসলের ক্ষতি ছাড়াও মৃত্যু হয় নয় জনের। এরপর সেটি দুর্বল হয়ে আবারও নিম্নচাপে পরিণত হয়। ঘূর্ণিঝড়টির নামকরণ করা হয় মিধিলি।
খুলনা গেজেট/ এএজে