মুরগীর খাবারের উপকরণ ভুট্টা আমদানি বন্ধ হয়েছে। বাচ্চার দামও বেড়েছে। ফলে নিম্নবিত্ত পরিবারের খাবার পোল্ট্রির দাম ফেব্রুয়ারি থেকে প্রতিদিনই বাড়ছে। বৃহস্পতিবার প্রতি কেজি ১৮০ টাকা, শনিবারের দাম ছিল দুইশ’ টাকা।
ব্যবসায়ীরা বলেছেন, ডলার সংকটের কারণে ভুট্টা আমদানি করতে না পারার প্রভা্ পড়েছে মুরগির খাবারে।
অপরদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে মুরগীর খাবারের অন্যান্য উপকরণ আমদানি বন্ধ হয়েছে। সরকারী, বেসরকারী ব্যাংক ও মানিচেঞ্জার গুলোতে ডলার সংকট চলছে বছরজুড়ে। মুরগীর খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান প্যারাগন ছাড়া অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভুট্টো মজুদ নেই। রমজান থেকে এ সংকট আরও বাড়বে। জানুয়ারিতে শৈত্য প্রবাহের কারণে দক্ষিণ জনপদে মুরগীর খামারের হাজার হাজার মুরগী মারা যায়। এসব কারণে বাজারে বয়লারের সরবরাহর প্রায় ৪০ শতাংশ কমেছে। লোকসানের কারণে খামারীরা বয়লার উৎপাদন কমিয়েছে।
বড় বাজারের মায়ের দোয়া মুরগী হাউজের সত্বাধিকারী জাহাঙ্গীর মীর বলেন, দিন পার হলেই কেজিতে বয়লার মুরগীর দাম ১০ থেকে ১২ টাকা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিকিকিনি অর্ধেকে নেমেছে। বৃহস্পতিবার প্রতি কেজির দাম ছিল ১শ’ ৮০ টাকা, আর শনিবার দুইশ’ টাকা। কৃষি বিপনন অধিদপ্তরের রেকর্ড অনুযায়ী গেল বছরের ১৫ জুন প্রতিকেজির মূল্য ছিল ১৫০-১৫৫ টাকা দরে।
একই বাজারের ভাই ভাই মুরগীর দোকানের মালিক অহিদুল ইসলাম বলেন, আগে প্রতিদিন ৩শ’- ৪শ’ কেজি বিক্রি হত। আর এখন বিক্রি হচ্ছে একশ’ থেকে দেড়শ’ কেজি।
নগরীর শেখপাড়া বাজারের বয়লার বিক্রেতা রাসেল বলেন, আগে প্রতিদিন একশ’ কেজির বেশি বিক্রি হলেও এখন হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ কেজি। দাম বেশি হওয়ায় ক্রেতা অনেক কমেছে।
তিনি আরও বলেন, প্রচুর মুরগীর সংকট রয়েছে। ঠান্ডায় মারা গেছে, খাবার ও বাচ্চার দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় খামারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বয়লার উৎপাদন করেনি অনেকে।
ময়লাপোতা মোড়স্থ পাইকারী পোল্ট্রি খাবার বিক্রেতা সিনা এন্টারপ্রাইজের সত্বাধিকারী মোঃ বদিউজ্জামান বলেন, প্যারাগণ বয়লার বাচ্চা গত বৃহস্পতিবার প্রতিটির মূল্য ছিল ৪৪ টাকা, শনিবার ৫৩, রবিবারের দাম ৬০ টাকা। খাবারের মূল্য অস্বাভাবিক বাড়ায় বাচ্চা বিক্রি কমে যায়। শুক্রবার ১৮শ’ বাচ্চা বিক্রি হয়েছে।
তিনি বলেন, ৫০ কেজির প্রতিবস্তা বয়লারের খাবারের খুচরা মূল্য ৩ হাজার ৫৫০ টাকা। এর আগে ছিল বস্তা প্রতি ২ হাজার ২৫০ টাকা।
উল্লেখ্য, শবেবরাত, রমজান, ঈদ ও নববর্ষ উপলক্ষে মুরগীর চাহিদা বাড়বে। খামারীদের বাচ্চা পালনে অনিহার কারণে এসব উৎসবে মুরগীর সংকট দেখা দিতে পারে।
খুলনা গেজেট /কেডি/এমএম