খুলনা, বাংলাদেশ | ১০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৫ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  কক্সবাজারের টেকনাফ সমুদ্র সৈকতে গোসলে নেমে নিখোঁজ দুই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
  সাবেক আইজিপি মামুনের ফের ৩ দিনের রিমান্ড

সরকারি চিংড়ি প্রদর্শনী খামারের পুকুরে ধান চাষ

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরার সরকারি চিংড়ী চাষ প্রদর্শনী খামারে মাছের পরিবর্তে চাষ করা হচ্ছে ধান। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে চাষীদের বিভিন্ন মৎস্য চাষে উদ্বুদ্ধ করার কথা থাকলেও সেখানে মাছের পরিবর্তে ধান চাষ হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন অনেক মৎস্যচাষী।

সাতক্ষীরা চিংড়ী চাষ প্রদর্শনী খামার সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮১ সালে সাতক্ষীরা শহরের অদূরে এল্লারচর এলাকায় ১৫০ বিঘা জমির উপর প্রতিষ্ঠিত হয় সরকারি চিংড়ী চাষ প্রদর্শনী খামার। সেখানে ২৩টি ছোট বড় পুকুর রয়েছে। পুকুরগুলোতে চাষীদের প্রশিক্ষণের জন্য প্রদর্শনী করা হয়। প্রতি বছর প্লান অনুযায়ী বিভিন্ন কম্পোনেন্টে মাছের পোনা উৎপাদন, কিশোর গলদা চাষ, নতুন চাষীদের উদ্বুদ্ধ করতে নানা বিষয়ে প্রশিক্ষন দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতি বছর প্রায় ২ হাজার চাষী প্রতিষ্ঠানটি থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে মৎস্য সম্পদ উন্নয়নে ভূমিকা রাখছেন। কিন্তু এবারই প্রথম ২৩ টি পুকুরের মধ্যে ৭টি পুকুরে ধান চাষ করা হয়েছে। অথচ মৎস্য সম্পদ উন্নয়নের জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করে সরকার এ খামার পরিচালনা করে যাচ্ছেন। অনেকেই বলছেন চিংড়ী চাষ প্রদর্শনীতে যদি ধান চাষ হয় তাহলে কৃষি অধিদপ্তর কি করবে।

সাতক্ষীরার মৎস্যচাষী দীন বন্ধু মিত্র ও মিজানুর রহমান বলেন, বর্তমান সরকার চাষীদের প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য খামারটির পিছনে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা ব্যয় করেন। এখন সেখানে যদি চাষীদেও প্রশিক্ষণের পরিবর্তে ধান চাষ করা হয় তাহলে সেটি মেনে নেওয়া যায় না। সরকারের উদ্যোগ ব্যাহত করতেই এধরনের কাজ করা হয়েছে বলে মনে করেন তারা। তারা এব্যাপরে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

সাতক্ষীরার নাগরিক নেতা অধ্যক্ষ আশেক ই এলাহী বলেন, এল্লারচরে প্রতিষ্ঠিত খামারটি জেলার একমাত্র সরকারি চিংড়ী চাষ প্রদর্শনী খামার। সেখানে ধান চাষ হওয়া মোটেও ভালো কিছু নয়। সাতক্ষীরা জেলাবাসীর পক্ষ থেকে এবিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।

এবিষয়ে সাতক্ষীরা চিংড়ী চাষ প্রদর্শনী খামারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইছাহক আলী বলেন, এবছর খরার কারণে ৭টি পুকুরে পানি ছিলো না। আমাদের চিংড়ী চাষ করতে হলে ৫ ফুট পানি থাকার প্রয়োজন থাকলেও এ বছর কোন পানিই ছিল না। যে কারনে পরীক্ষা মূলকভাবে ধান চাষ করা হয়েছে। তবে এধরনের কোন প্লান বা নির্দেশনা মৎস্য অধিদপ্তরের রয়েছেন কি না এমন প্রশ্নের কোন জবাব দিতে পারেননি তিনি।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বলেন, চিংড়ী চাষ প্রদর্শনী খামারে চিংড়ী চাষ হবে। সেখানে ধান চাষের কোন প্লান নেই। কিন্তু তিনি এবার সেখানে পরীক্ষা মূলকভাবে ধান চাষ করেছেন। এটি তিনি নিজ দায়িত্বেই করেছেন।

খুলনা গেজেট/ এসজেড




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!