এশিয়া কাপে এখন চলছে সুপার ফোরের লড়াই। সেই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের যাত্রাটা শেষ হয়ে গেছে প্রথম রাউন্ডেই। এশিয়া কাপ থেকে বিদায় নেওয়া বাংলাদেশ দল এখন দেশেই অবস্থান করছে। ১২ তারিখ থেকে টেকনিক্যাল কনসালট্যান্ট শ্রীধরন শ্রীরামের স্পেশাল ক্লাস শুরু হওয়ার কথা রয়েছে মিরপুরে। তার আগে আজ বুধবার মিরপুরে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলে টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন জানালেন বিশ্বকাপ জয়ের সক্ষমতাও রয়েছে সাকিব আল হাসানের দলের।
এশিয়া কাপ দিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে টাইগাররা নতুন শুরুর আভাস দিয়ে দেশ ছাড়লেও দুবাইয়ের মাটিতে সেটার প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হন সাকিব-রিয়াদরা। তবে সুজন জানালেন, সে দুঃস্মৃতি ভুলে আসন্ন ত্রিদেশীয় সিরিজ এবং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ঘুরে দাঁড়াবে বাংলাদেশ। এখানেই শেষ নয়, টাইগারদের বিশ্বকাপ জয়ের সক্ষমতাও রয়েছে, বিশ্বাস তার।
এ বিষয়ে টিম লিডার সুজন বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য টি-টোয়েন্টিতে উন্নতি করছি কি না। ছেলেদের মাথায় এই ফরম্যাটটা ছড়িয়ে দিতে চাই। অনেকে আমাদের তাচ্ছিল্য করে এই ফরম্যাটের কারণে। আমাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস আছে অবশ্যই ভালো করার। আমি নিজে পজিটিভ মানুষ, তাই পজিটিভ থাকার চেষ্টা করি সবসময়। আমি মনে করি বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়নও হতে পারি আমরা, যদিও সে রাস্তাটা মোটেও সহজ হবে না। হয়তো ৬ মাস কিংবা ১ বছর সময় লাগবে।’
ত্রিদেশীয় সিরিজে টাইগারদের খেলতে হবে ভয়ডরহীনভাবে, সেজন্য যদি প্রথম বলেও আউট হতে হয় তাহলেও কোন সমস্যা দেখছেন না সাবেক বাংলাদেশ অধিনায়ক। সুজনের চাওয়া সবাই স্বাধীনতা নিয়ে খেলুক এবং আগ্রাসী ক্রিকেটাই খেলুক।
এ নিয়ে সুজন বলেন, ‘আমি চাই ব্যাটাররা সাহসিকতা নিয়ে খেলুক। এই ফরম্যাটের জন্য স্বাধীনতা নিয়ে আগ্রাসী ক্রিকেটটাই খেলতে চাই আমরা। আর এমনভাবে খেলার সময় প্রথম বলে আউট হতেই পারে ব্যাটার, যদিও সেটার কোন সমস্যা দেখছি না আমি। নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে ১-২টা ম্যাচ নাও জিততে পারি আমরা।’
এশিয়া কাপে কয়েকজন ক্রিকেটার না থাকায় দল ভুগেছে। তাদেরকে মিস ও করেছেন টিম লিডার সুজন। এ বিষয় জানাতে গিয়ে সুজন বলেন, ‘ফিটনেস ঠিক হলে সবাই দলে ফিরবে। হাসানকে মিস করেছি। রাব্বি-সোহান-লিটন এরা সবাই ফিরলে দল আরো শক্তিশালী হবে।’