নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাওশি) এক কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করে ডিবির তেজগাঁও বিভাগ।
সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে সোমবার দুপুরে মিল্টনকে আদালতে হাজির করা হয়।
গ্রেপ্তার মাউশি কর্মকর্তার নাম চন্দ্র শেখর হালদার মিল্টন। ছাত্রলীগের সাবেক এ নেতা ৩১তম বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেন ডিবির তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার ওয়াহিদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘গত ১৩ মে মাউশির ৫১৩টি পদে নিয়োগের জন্য লিখিত পরীক্ষা চলাকালে ইডেন কলেজ কেন্দ্র থেকে প্রশ্নপত্রের উত্তরসহ চাকরিপ্রার্থী সুমন জোয়ার্দার নামে একজনকে আমরা গ্রেপ্তার করেছিলাম। তার প্রবেশপত্রের উল্টো পিঠে ৭০টি এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তর লেখা ছিল। পুরো প্রশ্ন ফাঁস চক্রকে ধরতে আমরা তদন্ত চালিয়ে গিয়েছি।
‘এই ঘটনার পরপর গণিত শিক্ষক সাইফুল, পটুয়াখালী সরকারি কলেজের লেকচারার রাশেদুল ও মাউশির উচ্চমান সহকারী আহসান হাবীব ও অফিস সহকারী নওশাদকে আমরা গ্রেপ্তার করি। তাদের সকলের দেয়া তথ্যে আমরা জানতে পারি, মাউশির নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নটি চন্দ্র শেখর মিল্টন ফাঁস করেছিলেন। তিনি ওই পরীক্ষার ইডেন কলেজ কেন্দ্র সমন্বয় করার দায়িত্বে ছিলেন। মাউশি কার্যালয় থেকে প্রশ্ন নিয়ে কেন্দ্রে যাওয়ার সময় তিনি প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে সাইফুলের কাছে পাঠিয়েছিলেন।’
মিল্টনকে নজরদারিতে রাখা হয়েছিল জানিয়ে ওয়াহিদুল আরও বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন তাকে নজরদারিতে রেখেছিলাম। সবশেষ রোববার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
‘প্রাথমিকভাবে তিনি আমাদের কাছে প্রশ্ন ফাঁসের কথা স্বীকার করেছেন, তবে তাকে রিমান্ডে নিয়ে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’