সফরের বিধি-বিধানসমূহ নিম্নরূপ:
وَإِذَا ضَرَبْتُمْ فِى الْأَرْضِ فَلَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ أَن تَقْصُرُوا مِنَ الصَّلٰوةِ
তোমরা যখন দেশ-বিদেশে সফর করবে, তখন সালাত ‘কসর’ করলে তোমাদের কোনো দোষ নেই। -সূরা নিসা, আয়াতঃ ১০১
হাদীস শরীফে এরশাদ হয়েছে,
قَالَ سَمِعْتُ أَنَسًا، يَقُولُ خَرَجْنَا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِنَ الْمَدِينَةِ إِلَى مَكَّةَ، فَكَانَ يُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ رَكْعَتَيْنِ حَتَّى رَجَعْنَا إِلَى الْمَدِينَةِ. قُلْتُ أَقَمْتُمْ بِمَكَّةَ شَيْئًا قَالَ أَقَمْنَا بِهَا عَشْرًا
হযরত আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আমরা নবী ﷺ -এর সাথে মদীনা ফিরে আসা পর্যন্ত তিনি দু’রাকাত, দু’রাকাত নামায আদায় করেছেন। (রাবী বলেন) আমি (আনাস রা.)-কে বললাম, আপনারা মক্কায় কয় দিন অবস্থান করেছিলেন? তিনি বললেন, সেখানে আমরা দশ দিন অবস্থান করেছিলাম। -সহীহ বুখারী, হাদীস ১০৮১
২. তিনদিন তিনরাত মোজার উপর মাসেহ করা বৈধ; আলী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন: “রাসূলুল্লাহ ﷺ আমাদেরকে মোজার উপর মাসেহ করার বিধান দিয়েছেন— মুসাফির তথা পর্যটকের জন্য তিনদিন তিনরাত এবং মুকীম তথা নিজ বাসস্থানে বসবাসকারীর জন্য একদিন একরাত। -মুসনাদে আহমাদ
৩. তায়াম্মুম করা বৈধ, যদি সে পানি না পায়, পানি সংগ্রহ করা তার জন্য কষ্টকর হয়ে যায়, অথবা তার জন্য পানির দাম অনেক বেশি হয়; আল্লাহ তা‘আলা বলেন: “আর যদি তোমরা অসুস্থ হও অথবা সফরে থাক বা তোমাদের কেউ শৌচস্থান থেকে আসে অথবা তোমরা নারী সম্ভোগ কর এবং পানি না পাও, তবে পবিত্র মাটির দ্বারা তায়াম্মুম কর; সুতরাং মাসেহ কর তোমরা তোমাদের চেহারা ও হাত। -সূরা নিসা, আয়াতঃ ৪৩
কিন্তু ভালভাবে খোঁজ-খবর বা চিন্তা-ভাবনা ছাড়াই নামায পড়লে, নামাযের মাঝে কিবলা সঠিক বা ভুল সম্বন্ধে সংবাদ পেলে নামায নষ্ট হয়ে যাবে। নামায শেষে কিবলা সঠিক জানতে পারলে নামায হয়ে যাবে, পুনরায় পড়া লাগবেনা। তবে যদি কিবলা ভুল হয়, তাহলে নামায বাতিল হয়ে যাবে। উক্ত নামায আবার পড়তে হবে।
আর হ্যা, কম্পাস ব্যবহার করে যদি সঠিক দিক নির্ধারণ করা সম্ভব হয়, তাহলে তার মাধ্যমে কিবলা নির্ধারণ করে নামায আদায় করা সহীহ হবে; কেননা, এটাও এক প্রকার খোঁজ-খবর এর অন্তর্ভুক্ত।
৬. যোহর ও আসর, অথবা মাগরিব ও এশা’র নামায একত্র করে আদায় করা বৈধ; সুতরাং সে যোহরের নামাযকে আসরের প্রথম ওয়াক্ত পর্যন্ত বিলম্বিত করে একেবারে যোহরের শেষ ওয়াক্তে যোহর ও আসরের ১ম ওয়াক্তে আসর নামায এক সাথে আদায় করতে পারবে এবং মাগরিবকে এশা’র পূর্ব পর্যন্ত বিলম্বিত করে একেবারে শেষ ওয়াক্তে মাগরিব ও ১ম ওয়াক্তে এশা এক সাথে আদায় করবে।
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَجْمَعُ بَيْنَ الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ فِي سَفَرِهِ إِلَى تَبُوكَ.
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে বুঝার ও আমল করার তাওফিক দান করুন, আমীন।