চাঁদপুরে সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা ড. আ ন ম এহসানুল হক মিলনের গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় কচুয়া উপজেলা সদর দক্ষিণ ইউনিয়নের বদরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
গাড়িতে মিলন ছাড়াও তার সহধর্মিণী কেন্দ্রীয় মহিলা দলের নেত্রী নাজমুন নাহার বেবি ছিলেন। তাদের বদরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আয়োজিত একটি ইফতার মাহফিলে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গাড়িতে হামলার পর তারা সেখানে আর যোগ দেননি।
হামলার ঘটনায় কারা জড়িত— জানতে চাইলে মিলন বলেন, এই হামলার জন্য কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য মালয়েশিয়া প্রবাসী মোশারফ হোসেন দায়ী।
তিনি বলেন, কচুয়ার আসনের এমপি ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর, কেন্দ্রীয় নেতা ড. সেলিম মাহমুদ ও আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম হোসেন, পৌর মেয়র নাজমুল আলম স্বপনসহ উপজেলা যুবলীগ, ছাত্রলীগ কেউই গাড়িতে হামলা-ভাঙচুর করেনি। মোশারফ মালয়েশিয়ায় বসে তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমার গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে। এ হামলা ও আমার গাড়ি ভাঙচুর করার জন্য তাকে জবাব দিতে হবে।
জানতে চাইলে কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিউদ্দীন বলেন, মিলন সাহেবকে ওই পথ দিয়ে অনুষ্ঠানে যেতে আমরা নিষেধ করেছি। কিন্তু তিনি ওই পথ দিয়েই গেলেন। যদিও আমরা তাকে নিরাপত্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এর মধ্যেই তার গাড়িতে হামলা হয়েছে। আমরা তাৎক্ষণিক হামলাকারীদের চিহ্নিত করতে পারিনি। তাছাড়া এখনও এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহসানুল হক মিলনকে সম্প্রতি বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক থেকে নির্বাহী সদস্য করা হয়েছে। বিএনপির দপ্তর থেকে চিঠি দিয়ে এ তথ্য জানানো হয়।
দলের একটি সূত্র জানিয়েছে, তিনি দীর্ঘদিন ধরে দলের কার্যক্রমে নিষ্ক্রিয় থাকায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর-১ আসন থেকে মনোনয়ন বঞ্চিত হন মিলন। এরপর থেকেই দলের হাইকমান্ডের সঙ্গে তার দূরত্ব সৃষ্টি হয় বলে জানা গেছে।