সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ওপেনার আনিসুল ইসলাম ইমন খেললেন দারুণ ইনিংস। তার সঙ্গে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের বড় জুটি ভাঙার পর আর কেউ দায়িত্ব নিতে পারলেন না। তাই মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব আটকে গেল মাঝারি সংগ্রহে। সেই পুঁজি নিয়েই পেসার ইবাদত হোসেনের তোপে মর্যাদার ম্যাচে জিতল তারা। বিফলে গেল আবাহনী লিমিটেডের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর লড়াই।
শনিবার (১২ এপ্রিল) মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) লিগ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হয় দুই ঐতিহ্যবাহী দল। সেখানে ৩৯ রানে জিতেছে মোহামেডান। টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ১০ বল বাকি থাকতে ২৬৪ রানে অলআউট হয় তারা। জবাবে ১৬ বল আগেই আবাহনী গুটিয়ে যায় ২২৫ রানে।
লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে সব মিলিয়ে ১১ ম্যাচ ও প্রায় ৯ বছর পর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের হারাতে পারল মোহামেডান। শেষবার তারা আকাশি-নীলদের হারিয়েছিল ২০১৬ সালের মে মাসে। সেবারের ডিপিএলের লিগ পর্বে ৮ উইকেটে জিতেছিল সাদা-কালোরা। এরপর আবাহনীর বিপক্ষে জয়ের তৃপ্তি কেমন তা যেন ভুলে গিয়েছিল দলটি। এবার সেই অপেক্ষার পালা শেষ হলো।
লিগ পর্বে দ্বিতীয় হারের তেতো স্বাদ পেলেও পয়েন্ট তালিকার শীর্ষেই রইল আবাহনী। ১১ ম্যাচে তাদের অর্জন ১৮ পয়েন্ট। সমান ম্যাচে নবম জয়ে সমান পয়েন্ট পাওয়া মোহামেডানের অবস্থান দুইয়ে। কারণ, নেট রান রেটে পিছিয়ে তারা। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দৌড়ে সামনে সুপার লিগে খেলবে দল দুটি। সেখানে অংশ নেবে পয়েন্ট তালিকার সেরা ছয়টি দল।
লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে দ্বিতীয় সেঞ্চুরির দেখা পাওয়া আনিসুলের এটি ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস। ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন তিনি ১১৪ রান করে। ১১৮ বল মোকাবিলায় ১৮ চারের সঙ্গে মারেন ২ ছক্কা। ব্যাট হাতে যেমন আনিসুল, তেমনি বল হাতে মোহামেডানের হয়ে নজরকাড়া পারফরম্যান্স দেখান ইবাদত। ৯.২ ওভারে একটি মেডেনসহ ৩৬ রানে ৪ উইকেট শিকার করেন তিনি। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এটি তারও ক্যারিয়ারসেরা ফিগার।
খুলনা গেজেট/জেএম