বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র ও বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন বলেছেন, খুলনায় আগামী ৯ নভেম্বরের প্রধানমন্ত্রীর জনসভা হবে বাংলাদেশের একটি ব্যতিক্রমী জনসভা। এটি হবে খুলনার নির্বাচনী জনসভা। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে শেখ হাসিনা যে উন্নয়ন করেছে এই জনসভাকে জনসমুদ্রে পরিণত করে আমরা তার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবো।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) বিকাল ৩টায় দলীয় কার্যালয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা সফল করার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত বর্ধিত সভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা তালুকদার আব্দুল খালেক। সভায় প্রধান বক্তার বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন।
শেখ হেলাল বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের সংগঠন, জনমূখী সংগঠন। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ রাজনীতি করে। অনেকেই বঙ্গবন্ধু হত্যার পরে সামরিক শাসকের সাথে তালে তাল মিলিয়ে ছিলো। কিন্তু তৃণমূলের নেতাকর্মীরা শক্ত ছিলো বলেই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী হয়েছে। জনগনের ভোটে নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। তিনি বলেন, যশোর, রাজশাহী ও রংপুরসহ সারাদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা দেখে বিএনপি মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে। বিএনপি এর আগের অবস্থা নেই। সারা দেশের জনগণ স্বাধীনতা বিরোধী গোষ্ঠী বিএনপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। বিএনপি জনসমর্থন হারিয়ে বিদেশীদের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে বেড়াচ্ছে। নানা ষড়যন্ত্র করছে।
তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আওয়ামী লীগ যদি তৃণমূল পর্যায়ে ঐক্যবদ্ধ থাকে, তাহলে তাদেরকে হারানোর শক্তি কারো নেই। তাই ঐক্যবদ্ধ থেকে আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে আবারও পঞ্চমবারের মত বিজয়ী করতে হবে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ৯ নভেম্বর খুলনা সফরে আসছেন। খুলনার সার্কিট হাউস মাঠে জনসভায় তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করবেন। তিনি খুলনা-মংলা রেললাইনসহ একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন।
সভায় মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানার সঞ্চালনায় বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগ নেতা কাউন্সিলর আমিনুল ইসলাম মুন্না, অধ্যা. রুনু ইকবাল বিথার, এ্যাড. মো. সাইফুল ইসলাম, সিদ্দিকুল রহমান বুলু বিশ্বাস, এ কে এম সানাউল্লাহ নান্নু, শেখ সৈয়দ আলী, শেখ আবিদ হোসেন, কাউন্সিলর ফকির মো. সাইফুল ইসলাম, কাউন্সিলর শেখ হাফিজুর রহমান হাফিজ, সুলতানা রহমান শিল্পী, রনজিত কুমার ঘোষ, এ্যাড. এ কে এম শাহজাহান কচি, সফিকুর রহমান পলাশ, এম এ নাসিম, এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল, শেখ আবিদ উল্লাহ, মো ফায়েজুল ইসলাম টিটো, মাকসুদ হাসান পিকু, খ. ম লিয়াকত আলী, মোর্শেদ আহমেদ মনি, কাউন্সিলর মোহাম্মদ আলী, এ্যাড. তারিক মাহমুদ তারা ও কাউন্সিলর রোজী ইসলাম নদী।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা কাজি আমিনুল হক, কাজী এনায়েত হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ শহিদুল ইসলাম, মল্লিক আবিদ হোসেন কবীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টু, বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্যামল সিংহ রায়, এ্যাড. রজব আলী সরদার, এ্যাড. আইয়ুব আলী শেখ, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম বন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ, মো. আশরাফ হোসেন, জামাল উদ্দিন বাচ্চু, শেখ মো. ফারুক আহমেদ, আবুল কালাম আজাদ কামাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যা. আলমগীর কবির, শেখ মোঃ আনোয়ার হোসেন, কাউন্সিলর আলী আকবর টিপু, মো. শাহজাদা, মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফেরদৌস আলম চান ফারাজী, এ্যাড. অলোকা নন্দা দাস, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাকসুদ আলম খাজা, শেখ ফারুক হাসান হিটলু, শেখ ইউনুছ আলী, কামরুল ইসলাম বাবলু, বীরেন্দ্রনাথ ঘোষ, হাফেজ মোঃ শামীম, মো. মফিদুল ইসলাম টুটুল, শেখ নুর মোহাম্মদ, এ্যাড. সরদার আনিছুর রহমান পিপলু, মোজাম্মেল হক হাওলদার, শেখ মোশাররফ হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা শ ম রেজয়ান, মাহবুবুল আলম বাবলু মোল্লা, তসলিম আহমেদ আশা, মনিরুল ইসলাম বাশার, শহিদুল ইসলাম বন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোশাররফ হোসেন, মনিরুজ্জামান খান খোকন, এস এম আকিল উদ্দিন, শেখ দাউদ হায়দার, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতালেব মিয়া, অধ্যা. এ বি এম আদেল মুকুল, এ্যাড. রাবেয়া ওয়ালী করবী, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল জব্বার, এ্যাড. শামীম আহমেদ পলাশ, আইরিন চৌধুরী নীপা, শেখ নজিবুল ইসলাম নজিব প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/এমএম