ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে ৫ম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ পরিষদের নির্বাচনে আ.লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের ভরাডুবি হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে উপজেলার আট ইউনিয়নের মাত্র দুটিতে জয়ী হয়েছেন নৌকা সমর্থিত প্রার্থী। আর বাকি ছয় ইউনিয়নে জয়লাভ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
এর মধ্যে সবচেয়ে কম ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন উপজেলার ৬নং ফলসী ইউনিয়নে আ.লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নিমাই চাঁদ মন্ডল। তিনি ওই ইউনিয়নের নয়টি কেন্দ্রে ভোট পেয়েছেন মাত্র ৪২টি।
এই নয় কেন্দ্রের তিনটিতে তিনি পেয়েছেন এক ভোট করে। ছয় ভোট করে পেয়েছেন দুটি কেন্দ্রে, একটি কেন্দ্রে পেয়েছেন পাঁচ ভোট, চার ভোট পেয়েছেন একটি কেন্দ্রে, তিন ভোট পেয়েছেন আরও একটি কেন্দ্রে এবং তার নিজ কেন্দ্রে পেয়েছেন ১৫ ভোট।
রিটানিং কর্মকর্তা ঘোষিত বে-সরকারি ফলাফল অনুযায়ী দেখা যায়, তিনি কুলবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, বোয়ালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র ও শিংগা আশরাফ আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পেয়েছেন এক ভোট করে, শিংগা আল জামেয়াতুল ইসলামিয়া মডেল মাদরাসা কেন্দ্রে পেয়েছেন তিন ভোট, চার ভোট পেয়েছেন সড়াতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে, বলরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পেয়েছেন পাঁচ ভোট এবং পারফলসী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কুলবাড়িয়া ঈদগা মাঠের অস্থায়ী কেন্দ্র দুটিতে পেয়েছেন ছয় ভোট করে। আর ১৫ ভোট পেয়েছেন তার নিজ কেন্দ্র ফলসী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
এই ইউনিয়নে আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী অ্যাড. বজলুর রহমান মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৪৬২৩ ভোট পেয়ে বে-সরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। এখানে অপর বিদ্রোহী প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান চশমা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪১৭৯ ভোট।
এদিকে নৌকা প্রতীকের এই প্রার্থীর সর্বনিম্ন ভোট পাওয়া নিয়ে উপজেলাজুড়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
পরাজিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নিমাই চাঁদ মন্ডল বলেন, আওয়ামী লীগের স্থানীয় কোন নেতাকর্মী তার পক্ষে নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণায় অংশ নেননি। ফলে তিনি নির্বাচনের মাঠে অসহায় হয়ে পড়েছিলেন।
খুলনা গেজেট/ এস আই