বন্ধু, সহকর্মী, সংবাদকর্মী কেউই নাগাল পাচ্ছেন না চিত্রনায়িকা সাদিকা পারভীন পপির। তিনি বারিধারার বাসায়ও নেই, মোবাইল নম্বরও বন্ধ। এমনকি যে ফেসবুক অ্যাকাউন্টে সরব থাকতেন সব সময়, সেটাও এখন নিষ্ক্রিয়।
প্রায় আট মাস ধরে হন্যে হয়ে তাকে খুঁজছেন তার প্রযোজক ও শুভাকাঙ্খীরা। এর মধ্যেই তাকে নিয়ে ছড়িয়েছে গুঞ্জন। গণমাধ্যম কর্মী থেকে শুরু করে নির্মাতারাও বলছেন পপি বিয়ে করেছেন। তিনি নাকি স্বামীর দেওয়া ফ্ল্যাটেই থাকছেন!
এদিকে কয়েকদিন আগে পপির মা মরিয়ম বেগম অভিযোগ করেন, তার ভরণ-পোষণের দায়িত্ব তো দূরে থাক, কোনো খোঁজই নেন না। ভিডিওতে পপির মা বলেন, সে আমার সাথে থাকে না, আমিও থাকি না। পপি কোথায় থাকে আমি জানি না। আমি কোথায় থাকি পপি জানে না। পপি বলে, আমাকে সে ভরণপোষণ দেয়। সব মিথ্যা। তার বাসায়ও আমি থাকি না।
২০২০ সালের জুনে সর্বশেষ ‘ভালোবাসার প্রজাপতি’তে কাজ করেন পপি। ছবিটির প্রায় ২০ শতাংশ কাজ এখনো বাকি। শেষ করতে আরও দুদিন শুটিং করতে হবে। তার বাসায় গিয়ে বেশ কয়েকবার ফিরে এসেছেন ছবির এক পরিচালক মাসুমা তানি।
পপির মুক্তি প্রতীক্ষিত ছবি ‘ডাইরেক্ট অ্যাটাক’ সম্প্রতি সেন্সর ছাড়পত্র পেয়েছে। ছবিটির মুক্তির আগে প্রচার প্রচারণায় থাকার কথা ছিল তার। কিন্তু ছবির পরিচালক সাদেক সিদ্দিকীও তার খোঁজ পাচ্ছেন না। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার ছবির প্রচারণায় পপির যুক্ত থাকার কথা ছিল। কিন্তু আমার সঙ্গেও যোগাযোগ করছে না সে। পপির এই আচরণে আমি খুবই বিব্রত বোধ করছি।
সবশেষ গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর ফেসবুকে সর্বশেষ পোস্ট করেছেন পপি। এরপর থেকেই অনেকটাই উধাও পপি। ‘ভালোবাসার প্রজাপ্রতি’ ছবির শুটিং অর্ধেক করেই লাপাত্তা হয়ে যান পপি। এ ছবি ছাড়াও আরও একটি ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার কথাও ডিসেম্বরেই জানিয়েছিলেন এ নায়িকা।
১৯৯৭ সালে মনতাজুর রহমান আকবর পরিচালিত ‘কুলি’ সিনেমায় অভিনয় করে অভিষেক হয় পপির। তারপর উপহার দিয়েছেন অনেকগুলো ব্যবসা সফল সিনেমা। তিনটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ অসংখ্য সম্মাননা আছে তার ঝুলিতে।
খুলনা গেজেট/এনএম