বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ৮ বছর ধরে দেড় কিলোমিটার একটি পিচ ঢালা রাস্তার বেহাল দশা। খানাখন্দে পরিনত হয়ে বিভিন্নস্থানে। চলাচলে জনভোগান্তিতে পড়েছে ৫ টি ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ। জনগুরুত্বর্পূন এ সড়কটি পুনঃ নির্মাণের দাবী স্থানীয়দের।
সরেজমিনে সোমবার খোজ নিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার দৈবজ্ঞহাটী ইউনিয়নের নব্বইরশী হয়ে পোলেরহাট বাজার অভিমুখি দেড় কিলোমিটারের পিচ ঢালা পাকা সড়কটি দীর্ঘ ৮ বছর ধরে পিচ উঠে গিয়ে বড় বড় খানা খন্দে পরিনত হয়েছে। প্রতিনিয়ত শত শত যানবাহন ও স্কুল শিক্ষার্থীসহ পথচারিরা পড়েছে দুর্ভোগে।
সামান্য বৃষ্টিতে হাটু পানি গর্তে জমে থাকে। প্রতিদিনই যাত্রীবাহি ভ্যান-ইজিবাইক-মোটরসাইকেলে ঘটছে দুর্ঘটনা। এ জনগুরুত্বপূর্ন সড়কটি থেকে দৈবজ্ঞহাটীর পোলেরহাট বাজার, রামচন্দ্রপুর-চিংড়াখালী, হোগলাপাশা ও বনগ্রামসহ ৫টি ইউনিয়নে মানুষের যোগাযোগের মাধ্যম এ রাস্তা থেকে প্রতিনিয়ত চলাচল করছেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা, মসজিদ, মন্দির, ইউনিয়ন ভূমি অফিস, ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়সহ জনগুরুত্বপূর্ন স্থানগুলোতে যাচ্ছেন জনসাধারণ।
পোলেরহাট আলহাজ্ব আজহারিয়া দাখিল মাদ্রসার সুপার মাওলানা মো. আনোয়ার হোসেন, শিক্ষার্থী আফসানা আক্তার, মারিয়া আক্তার, ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন, মিজানুর রহমান মিলন, সাইফুল ইসলাম, বৃদ্ধ আব্দুল হাইসহ একাধিক পথচারীরা জানান, দুই বছরের বেশী সময় ধরে এরকম কষ্ট ভোগ করে রাস্তা পারাপার করতে হয়। বৃষ্টি হলে আর দুর্ভোগের সীমা থাকে না। প্রতিদিন তাদের গাবগাছিয়া ও বলইবুনিয়া থেকে আসতে ভোগান্তির শেষ নেই। কবে দূর হবে এ ভোগান্তি?
এ দিকে দৈবজ্ঞহাটী থেকে সংবাদকর্মী শেখ মিজানুর রহমান ডিয়ার বলেন, পোলারহাট রাস্তাটি খুবই জনগুরুত্বপূর্ন দ্রুত নতুন এ সড়কটি নির্মাণ না হলে জনসাধারণের দুর্ভোগ দিনদিন বেড়ে যাবে।
এ বিষয়ে দৈবজ্ঞহাটী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সামছুর রহমান মল্লিক জানান, নব্বইরশী হয়ে পোলেরহাট রাস্তাটির বিষয়ে উপজেলা পরিষদে মাসিক সমন্বয় সভায় তোলা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেছেন নতুন রাস্তাটি পাস হয়েছে শ্রীঘ্রই রাস্তাটির কাজ হবে।
এ সর্ম্পকে উপজেলা প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, নব্বইরশী-পোলেরহাট দেড় কিলোমিটারের পিচ ঢালা রাস্তাটি ইতোমধ্যে সরকারি বাৎসরিক রক্ষনাবেক্ষণ (জিওবি ম্যানন্টেন্স) প্রকল্পের মাধ্যমে ৮ ফিট চওড়া ১৩শ’ ৬০ মিটার নতুন রাস্তার অনুমোদন হয়েছে। টেন্ডারের অপেক্ষায় প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
খুলনা গেজেট/এইচআরডি