ঈদের দিন রাত ১০টার মধ্যেই নগরীর সড়ক ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো থেকে কোরবানীর পশুর বর্জ্য ও ময়লা আবর্জনা অপসারণ করেছে কেসিসি। ঈদের দিন দুপুর দুইটা থেকে প্রায় ৮৫০ জন শ্রমিক-কর্মচারী একযোগে মাঠে নামে। ৮ ঘণ্টার মধ্যেই নগরীর সড়ক ও সেকেন্ডারি স্টেশনগুলো বর্জ্যমুক্ত হয়ে যায়। মঙ্গলবার ভোরে নগরীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে বর্জে্যর স্তুপ দেখা যায়নি।
এদিকে এবারও নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানীর উদ্যোগে সাড়া মেলেনি। এ বছর যেখানে-সেখানে পশু জবাই না করে নগরীর ১৪০টি স্থানে পশু কোরবানীর উদ্যোগ নেয় কেসিসি। কিন্তু এই উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য তেমন কোনো তৎপরতা ছিলো না।
সরেজমিন ঈদের দিন সকালে ও দুপুরে নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বাসা-বাড়ির সামনে ও রাস্তার ওপর পশু কোরবানী করতে দেখা গেছে। অনেকে বাড়ির ভেতরেও পশু কোরবানী করেছেন। নগরীর সার্কিট হাউস মাঠের সামনের সড়ক, বড় মির্জাপুর সড়ক, খানজাহান আলী সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, সড়কের ওপরেই মানুষ পশু কোরবানী করেছেন। তবে এবার পশুর বর্জ্য ড্রেনে ফেলতে দেখা যায়নি।
ঈদের দিন দুপুর দুইটা থেকেই নগরীতে কঞ্জারভেন্সি বিভাগের তৎপরতা শুরু হয়। প্রথম দিকে বর্জ্য অপসারণে ছিল ধীরগতি। বিকাল থেকে দ্রুত কাজ শুরু করেন শ্রমিকরা। রাত ১০টা পর্যন্ত কেসিসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বর্জ্য অপসারণ করতে দেখা গেছে।
কেসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান জানান, ঈদের দিন দুপুর ২টা থেকে শ্রমিকরা কাজ শুরু করে। তাদের কার্যক্রম তদারকির জন্য রাত ১০টা পর্যন্ত কর্মকর্তারাও মাঠে ছিলেন। বর্জ্য অপসারণে নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডে মোট ৮৫০ জন শ্রমিক-কর্মচারী, বিভিন্ন সাইজের ৭৬টি ট্রাক, গার্বেজ লোডার, পে-লোডার ও যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়। বর্জ্য অপসারণের পর নগরীর ওয়ার্ডগুলোতে ৪ হাজার কেজি ব্লিচিং পাউডার এবং ৪০০ লিটার স্যাভলন ছেটানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ঈদের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনও অনেকে কোরবানী দেন। এজন্য শ্রমিকরা এ দু’দিনও মাঠে থাকবে।
খুলনা গেজেট/হিমালয়