বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার উজলকুড় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ঝালবাড়ি পর্যন্ত ৮৫০ মিটার গ্রামীণ সড়ক উন্নয়নের কাজ চলছে। তবে কাজে ধীরগতির কারণে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন কয়েকটি গ্রামের প্রায় পাঁচ শতাধিক মানুষ। এদিকে এ রাস্তার কাজ শুরুর সময়ে রাস্তার জায়গা নির্ধারণ এবং মাটি খোড়া নিয়ে অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ ওঠে এ কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খুলনার মেসার্স অপু এন্ড ব্রাদার্স এর কর্মীদের বিরুদ্ধে। তবে স্থানীয়রা বিষয়টি মিমাংসা করেন।
জানা গেছে, রামপাল এলজিইডি কার্যালয়ের অধীনে ১ কোটি ১২ লাখ টাকা ব্যয়ে উজলকুড় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ঝালবাড়ি পর্যন্ত ৮৫০ মিটার রাস্তা ইটের সলিং থেকে কার্পেটিংয়ে উন্নতিকরণের কাজ চলছে। গত বছরের ২৭ অক্টোবরে শুরু হওয়া এ কাজ সমাপ্তির কথা রয়েছে চলতি বছরের ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে।
গ্রামবাসী জানান, দীর্ঘদিন কালক্ষেপণের পরে এ ৮৫০ মিটার রাস্তার পুনঃনির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। তবে রাস্তার কাজ শুরুর সময় থেকেই ব্যাপক ধীরগতি লক্ষ্য করা গেছে। রাস্তা খোড়ার পর বালি ভরাটের কথা থাকলেও প্রায় এক মাসেও কোন কার্যক্রম চোখে পড়েনি। রাস্তার নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকায় যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে খ্রিষ্টানপাড়া, রামদেবপুর, বড়নবাবপুর ও বান্ধালী গ্রামের প্রায় পাঁচ শতাধিক বাসিন্দাদের।
এদিকে গ্রামের মধ্যে তিনটি রেলক্রসিং সমতল ভূমি থেকে ৮ ফিট উঁচু। ওপরদিকে খুঁড়ে ফেলে রাখা রাস্তা দিয়ে দুই- তিন চাকার যানবহন তো দূরের কথা সাধারণ মানুষের চলাচলেও ব্যাপক বেগ পেতে হচ্ছে। বর্ষা হলে পানি জমে খালে রুপ নেয় খোড়া রাস্তা।
স্থানীয় বাসিন্দা আরিফ শেখ বলেন, ‘রাস্তার কাজে ধীরগতির কারণে ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। চলাচলের কোন উপায় নেই। বাধ্য হয়ে মানুষ ঝুঁকি নিয়ে রেললাইনের ওপর দিয়ে মোটরসাইকেল ও ভ্যান নিয়ে যাতায়াত করে। এতে যেকোনো সময় দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।’
বিল্লাল হোসেন নামে আরেক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, এ তিন চারটি গ্রামের মধ্যে কোন ভ্যান বা মোটরসাইকেল নিয়ে যাওয়ার উপায় নেই। বৃষ্টি হলে খোঁড়া রাস্তায় পানি জমে থাকে। রাতবিরেতে গ্রামের কেউ অসুস্থ হলে বাড়িতে ডাক্তার নিয়ে যাওয়া বা রোগীকে হাসপাতালে নেওয়ার কোন উপায় নেই।
তিনি আরও বলেন, ‘যেহেতু সামনে বর্ষাকাল যেহেতু কাজ বন্ধ না রেখে দ্রুত বালি ভরাট করে জনগণের চলাচলের জন্য কিছুরা উপযোগী করলে ভালো হয়।’
রাস্তার উন্নয়ন কাজের সাথে জড়িত সুপারভাইজার সুশীল বলেন, ‘ধান কাটার মৌসুমের জন্য শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছিলো না। রাস্তায় বালি ফিলিংয়ের জন্য আরেকটি গ্রুপ কন্ট্রাক্ট নিয়েছে। তারা কিছুদিনের মধ্যে কাজ শুরু করবে বলে জানিয়েছে।’
রামপাল উপজেলা প্রকৌশলী গোলজার হোসেন রাস্তার কাজ বন্ধের বিষয়টি জানতে পেরে প্রতিবেদকের কাছ থেকে রাস্তার নাম ও ঠিকানা সংগ্রহ করেন। তিনি বিষয়টি খোঁজ নিবেন বলে জানান।
খুলনা গেজেট/এইচ