খুলনা, বাংলাদেশ | ৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৮ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  বিচার বিভাগকে ঘুষ ও দুর্নীতিমুক্ত করার চেষ্টা হচ্ছে : ড. ইউনূস
  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৮ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১৩৮৯
  পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকেও আমরা ভারত থেকে ফেরত চাইব : প্রধান উপদেষ্টা

‌তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্প, নিহত অন্তত ৯০

গেজেট ডেস্ক

৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে পুরো তুরস্ক। স্থানীয় সময় সোমবার ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে ঘটা এই ভূমিকম্পের কম্পন রাজধানী আঙ্কারাসহ তুরস্কের সব অঞ্চলে অনুভূত হয়েছে।

তুরস্কের সরকারি দুর্যোগ ব্যবস্থানা দপ্তর এএফএডির দুই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ৯০ জনের মৃত্যুর সংবাদ পেয়েছেন তারা। তবে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ব জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস এক বিবৃতি অনুযায়ী, পর পর দু’টি ভূমিকম্প হয়েছে তুরস্কে। প্রথমটি হয়েছে ভোর ৪ টা ১৭ মিনিটে এবং সেটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮; দ্বিতীয়টি ঘটে তার ১৫ মিনিট পর। সেটি মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৭।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ খারমানমারাসের গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে ভূপৃষ্ঠের ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূমিকম্প দু’টির উৎপত্তিস্থল। তুরস্ক ছাড়াও সিরিয়া, লেবানন ও সাইপ্রাসে কম্পন অনুভূত হয়েছে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে এএফপি।

পার্শ্ববর্তী দেশ সিরিয়ার সীমান্ত থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত গাজিয়ানতেপ তুরস্কের অন্যতম শিল্পোৎপাদন কেন্দ্র নামে পরিচিত। এই শহরটি ও তার আশপাশের এলাকায় বেশ কিছু শিল্প কারখানা গড়ে ওঠায় তুরস্কের অন্যতম জনবসতিপূর্ণ শহরও গাজিয়ানতেপ।

তুরস্কের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো ভরে উঠেছে ভূমিকম্পের ফলে গাজিয়ানতেপসহ বিভিন্ন শহরে ধসে পড়া ভবনের ভিডিওচিত্রে। এসব ভবনের ধ্বংসস্তুপের নিচে বহু মানুষ আটকা পড়ে আছেন।

ধ্বংসস্তুপে আটকে পড়াদের মধ্যে আহত ও নিহতের সংখ্যাও প্রচুর বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে তুরস্কের পুলিশ বা সরকারি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দপ্তর এএফএডি এখন পর্যন্ত হতাহতের সংখ্যা প্রকাশ করেনি।

বিশ্বের সবচেয়ে ভূমীকম্পপ্রবণ দেশগুলোর মধ্যে একটি হলো তুরস্ক। ১৯৯৯ সালে তুরস্কের দুজকে অঞ্চলে ৭ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল। সেই দুর্যোগে দেশটিতে মোট নিহতের সংখ্যা ছিল ১৭ হাজারেরও বেশি। একক শহর হিসেবে ইস্তাম্বুলে নিহতের সংখ্যা ছিল সবচেয়ে বেশি— প্রায় ১ হাজার জন।

তারপর ২০২০ সালের জানুয়ারিতে তুরস্কের পূর্বাঞ্চলীয় শহর এলাজিগে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে ৪০ জন নিহত হন। একই বছর অক্টোবরে এজিয়ান সাগর উপকূলে ৭ মাত্রার আরও একটি ভূমিকম্প হয়েছিল। সেই দুর্যোগে নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছিল ১১৪ জনে।

খুলনা গেজেট/ বি এম এস




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!