খুলনা, বাংলাদেশ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২২ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ডেঙ্গুতে একদিনের ৯ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১ হাজার ২১৪

দেশের ৫৩তম বাজেট, ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা

গেজেট ডেস্ক

২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য সাত লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বিশাল বাজেট ঘোষণা হবে আজ। দীর্ঘস্থায়ী অর্থনৈতিক এই সংকটের মধ্যেই প্রথমবারের মতো বাজেট পেশ করতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। ৮২ বছর বয়সে এই বাজেট পেশ করে রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন তিনি। তবে দেশের অর্থনীতিতে টানাপড়েনের এই সময়ে সমস্যার এক বিশাল বোঝা তাঁর কাঁধে। এমন পরিস্থিতিতে তিনি কেমন নতুন কৌশল সামনে নিয়ে আসেন, সেটিই দেখার বিষয়।

গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরু হয়েছে। এটি চলতি দ্বাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় ও প্রথম বাজেট অধিবেশন। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ঘোষণা করা হবে বাংলাদেশের ৫৩তম বাজেট। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এবার বাজেটের প্রতিপাদ্য হচ্ছে—‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অঙ্গীকার’।

সংসদের এই অধিবেশনে চলতি অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটের ওপর আলোচনা শেষে তা পাস করা হবে। এরপর অধিবেশনজুড়ে আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে আলোচনা করবেন সংসদ সদস্যরা। ৩০ জুন বাজেট পাস হওয়ার কথা রয়েছে। স্বাভাবিকভাবে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ওপর বাজেটের প্রভাব থাকবে। সরকারকে এবার কী পরিমাণ কর দিতে হবে, তা থেকে কেমন সেবা পাওয়া যাবে, তার হিসাব মেলাবেন অর্থমন্ত্রী।

দীর্ঘদিন ধরে আয়-ব্যয়ের বিপুল ঘাটতি রেখে বাজেট দিয়ে এসেছেন সাবেক অর্থমন্ত্রীরা। এতে প্রতিবছর বাড়ছে বাজেটের আকার। এবার আকার বাড়লেও ঘাটতি সীমিত রাখার চেষ্টা করছেন অর্থমন্ত্রী। তবে আগের ঘাটতি মেটাতে করা ঋণের বোঝা এখন বহন করতে সরকারের বাজেট ব্যয় বাড়াতে হচ্ছে। বাজেটের আকার প্রতি অর্থবছরই যখন বাড়ছে, তখন ব্যয়ের সঙ্গে আয়ের সামঞ্জস্যও থাকছে না, যে কারণে বাড়ছে ঋণনির্ভরতা এবং যার সুদাসল দিতে চাপে পড়ছে সরকার। আর এর প্রভাব পড়ছে দেশের সাধারণ মানুষের ওপর। বাজেটের বড় একটি অংশ আসে নাগরিকদের দেওয়া কর থেকে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, অর্থের জোগান সাধারণ মানুষ দিলেও বাজেট প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণের সুযোগ সীমিত, যে কারণে তাদের ইচ্ছা-অনিচ্ছার প্রতিফলন বাজেটে তেমন দেখা যায় না। তবে আজ অর্থমন্ত্রী আগামী অর্থবছরের বাজেটে প্রত্যাশাপূরণের সংকটকালীন এই সময়ে বাস্তবমুখী প্রস্তাব তুলে ধরবেন—এমনটাই সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা।

বাজেট​​​​​​​উন্নয়ন ব্যয়ে কৃচ্ছ্রসাধন করে বাজেট ঘাটতি সীমিত করা হলেও পরিচালন ব্যয় কমাতে কোনো কৌশল নিতে পারছেন না অর্থমন্ত্রী। এ কারণে উচ্চ প্রবৃদ্ধির আশা করা হলেও বাস্তবে বাজেট ব্যয়ে তার প্রতিফলন থাকছে না। তবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য বিক্রি, ভর্তুকি ও সামাজিক সুরক্ষায় জোর দেওয়া হচ্ছে বাজেটে। আবার রাজস্ব আয় বাড়াতে বড় লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। এতে দেশি শিল্পপণ্যের দাম বাড়বে। আবার ডলারের উচ্চ বিনিময় মূল্য ও ন্যূনতম পর্যায়ে রিজার্ভ থাকায় নিয়ন্ত্রিত আমদানিতে পণ্যের মূল্য বাড়লে সেদিক থেকে ব্যয়ের চাপ থাকবে।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এবারের বাজেটে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার থাকছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে। সঙ্গে থাকছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পরিস্থিতির উন্নয়ন ও রাজস্ব আয় বাড়ানোর চ্যালেঞ্জ। একই সময়ে ডলারের বিনিময় দরে অস্থিতিশীলতা এবং আমদানি-রপ্তানি প্রবৃদ্ধি শ্লথ হওয়ার সময়ে সংকোচনমুলক বাজেট প্রণয়ন করতে গিয়ে, আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে সামগ্রিক ঘাটতির পরিমাণ চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটের চেয়ে ব্যাপকভাবে কমাতে যাচ্ছে অর্থ মন্ত্রণালয়। কারণ অর্থের সংস্থান কমে আসার ফলে মধ্যমেয়াদি বাজেট কাঠামোর পরিকল্পনা থেকে বাজেট ঘাটতির পরিমাণ টাকার অঙ্ক ও জিডিপির অনুপাত—উভয় দিক থেকেই চলতি অর্থবছরের চেয়ে কমবে।




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!