স্বাধীনতার স্থপতি এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজ, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ সংক্রান্ত এক রিটের সম্পূরক আবেদনের শুনানি শেষে হাইকোর্টের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি শাহেদ নূর উদ্দীনের বেঞ্চ আজ বুধবার এ আদেশ দেন। রিটকারী আইনজীবী হলেন ড. মো. বশির আহমেদ।
একই সঙ্গে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতির পিতার ৭ মার্চের ভাষণের আঙুল উঁচানোর ভাস্কর্য স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া ভাস্কর্য স্থাপনের জন্য একটি কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছে।
আইনজীবী ড. মো. বশির আহমেদ বলেন, আগের আদেশ অনুযায়ী আদালত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপন দ্রুত সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন। এ ছাড়া জেলায় জেলায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপনে আগের আদেশ বাস্তবায়নেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে ২০২০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যপুস্তকে ৭ মার্চের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস অন্তর্ভুক্তির কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। ওইদিন ৭ মার্চকে ঐতিহাসিক জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। আদালত মুজিববর্ষের মধ্যে দেশের প্রত্যেকটি জেলা ও উপজেলা কমপ্লেক্সে রাষ্ট্রীয় খরচে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি নির্মাণের নির্দেশ দেন।
এরও আগে ২০১৭ সালের ২০ নভেম্বর ৭ মার্চকে ঐতিহাসিক জাতীয় দিবস হিসেবে কেন ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।