আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়ে সারাদেশে গণকারফিউ ঘোষণা করেছে ১২ দলীয় জোট।
জোট নেতৃবৃন্দ শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও ভোট বর্জনের দাবিতে ৬ ও ৭ জানুয়ারি সারাদেশে সর্বাত্মক হরতাল এবং ৭ তারিখ (রবিবার) সকাল-সন্ধ্যা গণকারফিউ ঘোষণা করেন। নেতৃবৃন্দ ৭ তারিখে জনগণকে ঘর থেকে বের না হয়ে ‘ভোট বর্জনের’ আহ্বান জানান।
শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব ও পল্টন এলাকায় নির্বাচন বাতিল, শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও অসহযোগ আন্দোলন সফল করার লক্ষ্যে ১২ দলীয় জোটের গণসংযোগ ও পদযাত্রা শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে নেতৃবৃন্দ একথা বলেন।
নির্বাচনে ভারতীয় অনুপ্রবেশকারীরা ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভোটারের ভূমিকা পালন করতে পারে এমন আশঙ্কার কথা জানিয়ে ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ বলেছেন, বাংলাদেশে নির্বাচন আসলেই ভারতীয়রা খুব তৎপর হয়ে ওঠে। আন্তর্জাতিক মহলে ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক দেখাতে গত পনেরো বছর ধরে বাংলাদেশে অবস্থানরত ভারতীয় অনুপ্রবেশকারীরা আবারও সক্রিয় হচ্ছে। দেশবাসী সতর্ক থাকুন।
১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ভোটকেন্দ্র গুলোতে ভোটার উপস্থিতি দেখাতে ইতিমধ্যে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সাধারণ ভোটারদের চাপ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি দিন মজুর ও কাজের লোকদের এক দিনের সমান কাজের টাকা দিয়ে আনার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তাই দেশবাসী মনে করে আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচন হয় না, জনগণের সাথে প্রতারণা করা হয়। দেশ ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় অবিলম্বে নির্বাচন স্থগিত করে শেখ হাসিনার পদত্যাগ করা জরুরি।
১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও জাগপার সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান বলেন, আগামী ৭ তারিখ ফেলানি হত্যা দিবসে অবৈধ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। আমাদের আফসোস হয়! আমার বোন ফেলানীকে দিল্লি যেভাবে কাটা তারে ঝুঁলিয়ে রেখেছে ঠিক একইভাবে ৭ তারিখের নির্বাচনের পর বাংলাদেশকে দিল্লির দাদা বাবুরা ঝুলিয়ে রাখার ষড়যন্ত্র করছে।
তিনি বলেন, কথাবার্তা পরিষ্কার! দিল্লির প্রেসক্রিপশনে আগামী ৭ তারিখ পুতুল খেলা নির্বাচন বাংলার মাটিতে হতে দেওয়া হবে না। গণ-কারফিউর মাধ্যমে এই নির্বাচন জনগণ প্রতিহত করবে এবং শেখ হাসিনার পতন নিশ্চিত করা হবে ইনশাআল্লাহ।
গণসংযোগ ও পদযাত্রা শেষে বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামী বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ড. গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সহ-সভাপতি ও ১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক রাশেদ প্রধান, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) ভাইস চেয়ারম্যান হান্নান আহমেদ বাবলু, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ, বাংলাদেশ লেবার পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. শামসুদ্দীন পারভেজ, ইসলামি ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম।
উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ এলডিপির তমিজউদদীন টিটু, আবদুল হাই নোমান, গোলাম মুর্তুজা মানিক, মো. ফরিদ উদ্দিন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মাওলানা আব্দুল মালেক চৌধুরী, মুফতী আতাউর রহমান খান, মাওলানা এম এ কাসেম ইসলামাবাদী, সৈয়দ তালহা আলম, জাগপার অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, মনোয়ার হোসেন, মো. সাজু মিয়া, বাংলাদেশ লেবার পার্টির শরিফুল ইসলাম, মো. লিটন খান রাজু, হাবিবুর রহমান, মো. আসাদ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ইমরান হোসেন, বিল্লাল হোসেন, ইসলামী ঐক্য জোটের, বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আমিন, যুব জাগপার নজরুল ইসলাম বাবলু, এলডিপি যুবদলের ফয়সাল আহমেদ, রানা হোসেন, যুব সংহতির নিজাম উদ্দিন সরকার, ছাত্র সমাজের কাজী ফয়েজ আহমেদ, মো. ফাহিম হোসেন, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের নিজাম উদ্দিন আল আদনান, হাফেজ খালেদ মাহমুদ প্রমুখ।