করোনাভাইরাসের বাড়তি প্রকোপের মধ্যে যেখানে খেলাধুলার প্রতি আস্তে আস্তে আবারও বাধানিষেধ প্রয়োগ করার ব্যাপারে বিভিন্ন জায়গা থেকে গুঞ্জন উঠছে, ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের তাতে কোনো বিকার নেই। তারা স্পষ্টই জানিয়ে দিয়েছিল, করোনার প্রকোপ যতই ভয়াবহ হোক না কেন, এফএ কাপের ম্যাচ চলবেই। কেউ না খেলতে পারলে তার প্রতিপক্ষকে পরের রাউন্ডে ‘ফ্রি পাস’ দিয়ে দেওয়া হবে।
ম্যাচের আগে দলের মধ্যে ১৪ জনের করোনা পজিটিভ হওয়ার খবরের পরও তাই অ্যাস্টন ভিলাকে মাঠে নামতেই হয়েছে। তবে সালাহ-মানেদের বিপক্ষে যাঁরা নেমেছেন, তাঁদের ভিলা সমর্থক ছাড়া কেউ কস্মিনকালেও চিনতেন কি না, প্রশ্ন তোলাই যায়। বলতে গেলে অনূর্ধ্ব-২৩ দলই নামিয়েছে ভিলা!
‘বাচ্চা’দের প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েই গত রাতে ম্যাচটা লিভারপুল জিতেছে বেশ হেসেখেলে। ৪-১ গোলের জয়ে উঠে গেছে পরের রাউন্ডে। লিভারপুলের হয়ে গোল করেছেন সাদিও মানে (২টি), মোহাম্মদ সালাহ ও জর্জিনিও ভাইনালডম। ওদিকে অ্যাস্টন ভিলার গোলটা ১৭ বছর বয়সী স্ট্রাইকার লুই ব্যারির।
অ্যাস্টন ভিলা দলটা নামেই অনূর্ধ্ব-২৩, বয়স আরও কম। বলতে গেলে সবার বয়সই ১৬ থেকে ১৯–এর মধ্যে। দলটার প্রধান নির্বাহী ক্রিস্টিয়ান পারস্লো যেমন ম্যাচের আগেই বললেন, ‘অনেক খেলোয়াড়কেই ওদের বাবা-মা আজকে দিয়ে গেছে মাঠে। কারণ, তাঁদের অনেকের বয়সই ১৮ নয়। আর বয়স ১৮ না হলে ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া যায় না, নিজে নিজে গাড়ি চালিয়ে মাঠে আসা যায় না!’
ভিলার গোলদাতা ব্যারির বয়সই ১৭। ওয়েস্ট ব্রমউইচ অ্যালবিওন থেকে গত বছর বার্সেলোনায় গিয়ে বেশ খবরের জন্ম দিয়েছিলেন এই কিশোর। মেসিদের সঙ্গে পাঁচ মাস কাটিয়ে আবারও ফিরেছেন ইংল্যান্ডে, অ্যাস্টন ভিলায়। গোল করে বুঝিয়েছেন কেন বার্সার মতো ক্লাব এককালে তাঁর ওপর আগ্রহী হয়েছিল।
ওই গোলে ১-১ সমতায় ফিরেই বিরতিতে গিয়েছিল ভিলা! পরে অবশ্য লিভারপুল অঘটন ঘটতে দেয়নি। ছয় মিনিটের ব্যবধানে তিন গোল করে উঠেছে পরের রাউন্ডে।
কিছুদিন আগে লিগে এই ভিলার কাছেই ৭-২ গোলে বিধ্বস্ত লিভারপুলের কষ্ট তাতে কি কিছুটা কমেছে? হয়তো! আবার প্রতিপক্ষ যদি ব্যারিদের মতো দুধের শিশু হয়, তাদের বিপক্ষে পাওয়া জয়টা ওই ক্ষতে কতটুকু প্রলেপ দিতে পারে, সেই প্রশ্নও থেকেই যায়!
খুলনা গেজেট/কেএম