বাসেল থেকে কোলন, ম্যাচের চিত্রনাট্যেও এলো বদল। গোল উৎসবে জমে উঠল লড়াই। শুরুতে নিষ্প্রাণ খেলে দুই গোল হজম করল জার্মানি। ঘুরে দাঁড়িয়ে সমতা টানার পরক্ষণে গোল খেল আবারও। সে যাত্রায়ও গোল শোধ করে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনের আশা জাগিয়েছিল সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। তবে, গোছালো ফুটবল খেলা সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ পর্যন্ত জয়ের দেখা পায়নি তারা।
অবশ্য দুবার পিছিয়ে পড়ার পর ড্রয়ে মাঠ ছাড়তে পারাটাও ইওয়াখিম লুভের জন্য কম স্বস্তির নয়। উয়েফা নেশন্স লিগে মঙ্গলবার রাতে ‘এ’ লিগের ৪ নম্বর গ্রুপের ম্যাচে ছয় গোলের রোমাঞ্চ ছড়ানো ম্যাচটি ৩-৩ ড্র হয়েছে। প্রথম পর্বে বাসেলে দুই দলের লড়াই ১-১ ড্রয়ে শেষ হয়েছিল।
আগের ম্যাচে স্পেনের কাছে হেরে আসা সুইজারল্যান্ড পঞ্চম মিনিটে প্রথম সুযোগেই এগিয়ে যায়। কর্নারে রেমো ফ্রয়লার হেড করার পর আরেক হেডে জাল খুঁজে নেন মারিও গাভরানোভিচ।
অগোছালো ফুটবল খেলা জার্মানি নিজেদের ভুলে পঞ্চদশ মিনিটে আবার গোল খেতে বসেছিল। চিপ করে সতীর্থকে বল দিতে গিয়েছিলেন গোলরক্ষক মানুয়েল নয়ার। একটু লাফিয়ে বলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া হারিস সেফেরোভিচের প্রচেষ্টা ফিরিয়ে দেওয়ার পর গাভরানোভিচের শটও পা দিয়ে আটকান নয়ার।
২৬তম মিনিটে জার্মানি গোল হজম করে নিজেদের ভুলে। মাঝমাঠে টনি ক্রুস বল হারানোর পর জেরদান শাচিরি তা বাড়ান সেফেরোভিচকে। ২৮ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ডের ক্রস আলতো টোকায় পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে আসা নয়ারের মাথার ওপর দিয়ে জালে জড়িয়ে দেন ফ্রয়লার। জার্মান ডিফেন্ডার আন্টোনিও রুডিগার লাফিয়ে চেষ্টা করেছিলেন, শেষ রক্ষা হয়নি।
দুই গোল হজমের পর ২৮তম মিনিটে ঘুরে দাঁড়ানো গোলের দেখা পায় জার্মানি। কাই হাভার্টজ থেকে পাওয়া বল নিখুঁত কোনাকুনি শটে লক্ষ্যে পৌঁছে দেন টিমো ভেরনার। প্রথমার্ধের শেষ দিকে ক্রুসের শট বাইরের জাল কাঁপায়।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে জার্মানির হাভার্টজের শট পোস্টে লেগে ফেরার পর ৫৫তম মিনিটে সমতা টানে ২০১৮ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ডান দিক দিয়ে ডি বক্সে ঢুকে কোনাকুটি শটে লক্ষ্যভেদ করেন হাভার্টজ।
পরের মিনিটে ফের এগিয়ে যায় সুইসরা। ছোট ডি-বক্সের ভেতর থেকে সেফেরোভিচের দুটি প্রচেষ্টা ফেরালেও পুরোপুরি বিপদমুক্ত করতে পারেননি নয়ার। বল পেয়ে যান গাভরানোভিচ। বুলেট গতির শটে নয়ারকে পরাস্ত করেন দিনামো জাগরেভের এই ফরোয়ার্ড।
পরের মিনিটে ফের এগিয়ে যায় সুইসরা। ছোট ডি-বক্সের ভেতর থেকে সেফেরোভিচের দুটি প্রচেষ্টা ফেরালেও পুরোপুরি বিপদমুক্ত করতে পারেননি নয়ার। বল পেয়ে যান গাভরানোভিচ। বুলেট গতির শটে নয়ারকে পরাস্ত করেন দিনামো জাগরেভের এই ফরোয়ার্ড।
খুলনা গেজেট/এএমআর