স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে ৪০ তম স্প্যান বসানোর পর দৃশ্যমান হলো ৬ হাজার মিটার বা ৬ কিলোমিটার। আর বাকি থাকলো মাত্র একটি স্প্যান। এতেই দৃশ্যমান হবে পুরো পদ্মা সেতুর ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার।
৩৯ তম স্প্যান বসানোর সাত দিনের মাথায় শুক্রবার সেতুর মুন্সীগঞ্জের মাওয়া অংশে মাঝ নদীতে ১১ ও ১২ নং পিয়ারে ৪০ তম স্প্যানটি বাসানো হয়। এতে দৃশ্যমান হয় সেতুর ছয় হাজার মিটার বা ছয় কিলোমিটার অংশ।
৪০ তম স্প্যান বসানোর পর সেতুতে বাকি থাকল মাত্র ১টি স্প্যান। ১২ ও ১৩ নম্বর পিয়ারে সর্বশেষ ৪১তম স্প্যান স্প্যান ‘২-এফ’ বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে প্রকৌশলীদের। স্প্যান বাসানো ছাড়াও অন্যান্য কাজও এগিয়ে চলেছে। এরমধ্যে সেতুতে ১৮ শতাধিক রেলওয়ে ও ১২ শতাধিক রোড ওয়েস্ল্যাব বসানো হয়েছে।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। ৪২টি পিলারে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যান বসিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে। সব কটি পিয়ার এরই মধ্যে দৃশ্যমান হয়েছে। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। দুটি সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণ করেছে বাংলাদেশের আবদুল মোমেন লিমিটেড।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো। নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর ২০২১ সালেই খুলে দেয়া হবে পদ্মা সেতুর।
খুলনা গেজেট/এনএম