২০৩০ আয়োজন করা হবে ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপের ২৪তম সংস্করণ। এ আসরে উৎযাপন করা হবে বিশ্বকাপ ফুটবলের শতবর্ষ। বিশ্বকাপের ১০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ২০৩০ আসরকে স্মরণীয় করে রাখতে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে ফিফা। ২০২৬ আসরের মতো এই সংস্করণে প্রতিযোগিতা করবে মোট ৪৮টি দল। টুর্নামেন্টটি আয়োজন করবে তিনটি মহাদেশের মোট ৬টি দেশ।
১৯৩০ সালের প্রথমবারের মতো ফুটবল বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল দক্ষিণ আমেরিকার দেশ উরুগুয়েতে। ২০৩০ আসরেও উদ্বোধনী ম্যাচগুলো হবে দক্ষিণ আমেরিকায়। তবে একক কোনো দেশ নয়, ভাগাভাগি করে তা আয়োজন করবে তিনটি দেশ- আর্জেন্টিনা, প্যারাগুয়ে ও উরুগুয়ে।
টুর্নামেন্টের বাকি ম্যাচগুলো হবে ইউরোপের দেশ স্পেন ও পর্তুগাল এবং আফ্রিকার দেশ মরক্কোতে।
এর মধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার ২০৩০ সালের বিশ্বকাপকে ৬৪ দলের টুর্নামেন্টে উন্নীত করার আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দিয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা (কনমেবল)।
বৃহস্পতিবার একটি সভা আয়োজন করে কনমেবল। ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন ফিফার প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো।
সভায় কনমেবল সভাপতি আলেহান্দ্রো ডমিঙ্গেজ বলেন, ‘(দল বাড়ানোর) ফলে সকল দেশ বিশ্বকাপের অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ পাবে এবং পৃথিবীর কেউই এই উৎসব থেকে বঞ্চিত হবে না। আমরা বিশ্বাস করি এই শতবর্ষ উদযাপন হবে অনন্য। কারণ শত বছর একবারই উদযাপন করা যায়।’
ফিফা কাউন্সিলের মার্চ মাসের এক সভায় প্রথম এই প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন উরুগুয়ের ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি ইগনাসিও আলোনসো। এবার সেই প্রস্তাব মহাদেশীয় ফুটবল নিয়্ন্ত্রক সংস্থাও তুললো।
প্রস্তাবটি গৃহীত হলে ২০৩০ সালের সংস্করণে ১২৮টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। যা ১৯৯৮ থেকে ২০২২ পর্যন্ত খেলা ৬৪ ম্যাচের ফরম্যাটের চেয়ে দ্বিগুণ।
প্রস্তাবের সমালোচকরা বলছেন, এটি বাছাইপর্বের মানকে ক্ষুন্ন করে। ইউরোপিয়ান ফুটবল সংস্থার (উয়েফা) সভাপতি আলেকসান্ডার চেফেরিন এই প্রস্তাবকে ‘বাজে ধারণা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।