আবার আশঙ্কার কালো মেঘ ঘনিয়ে এসেছে টোকিও অলিম্পিকের ওপর। করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে ওলটপালট গোটা বিশ্ব। দ্বিতীয় ঢেউয়ে জাপানও হিমশিম খাচ্ছে। সংক্রমণ এতটাই বেড়েছে যে জাপান সরকার টোকিওসহ কয়েকটি বড় শহরে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছে।
এই অবস্থায় জুলাইয়ে আদৌও অলিম্পিক আয়োজন করা সম্ভব হবে কিনা, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। গত ৭ থেকে ৯ মে পর্যন্ত তিনদিন অলিম্পিক নিয়ে জরিপ চালায় ইওমিউরি শিম্বুন। তাদের জরিপ অনুযায়ী, ৫৯ শতাংশ জাপানিজ অলিম্পিক গেমস বাতিলের পক্ষে। ৩৯ শতাংশ অলিম্পিক চালু রাখার পক্ষে। অলিম্পিক পুনরায় স্থগিত করার অপশন তারা দেয়নি।
তাদের আরেক জরিপ অনুযায়ী, ২৩ শতাংশ জাপানিজ অলিম্পিকে বিদেশী দর্শক দেখতে চান না। টিবিএস নামের একটি প্রতিষ্ঠানও অলিম্পিক নিয়ে জরিপ চালায়। তাদের জরিপ অনুযায়ী, ৬৫ শতাংশ জাপানিজ অলিম্পিক পিছিয়ে দেওয়ার পক্ষে এবং কয়োডো নামের আরেকটি প্রতিষ্ঠানের জরিপ অনুযায়ী, ৭০ শতাংশ জাপানিজ করোনাকালীন সময়ে অলিম্পিক চান না।
অলিম্পিকের পর্দা উঠার ৭০ দিন আগে এমন পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কাউন্সিল ও আয়োজক জাপান। দুই পক্ষের মধ্যে একাধিক আলোচনা হলেও এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসেনি। কিছুদিন আগে জাপানের প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীকে জানান, শতভাগ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে পারলেই অলিম্পিক আয়োজন করবে তারা।
এ বছরের অলিম্পিক ২৩ জুলাই থেকে শুরু হওয়ার কথা রয়েছে এবং শেষ হবে ৮ আগস্ট। প্যারালিম্পিক চলবে ২৪ আগস্ট থেকে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।২০০ এর বেশি দেশ থেকে প্রায় ১১০০০ অ্যাথলেট অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করবে। তাদের সবার কোভিড সুরক্ষায় বিশাল অঙ্কের অর্থ ব্যয় হচ্ছে আয়োজকদের।
জাপানের গণমাধ্যমের খবর, টোকিও অলিম্পিক পরিচলনা করতে ২৮০ কোটি ডলার খরচের হিসেব দিয়েছে অলিম্পিক কমিটি। যার মধ্যে করোনা প্রতিরোধেই ব্যয় ধরা হয়েছে ৯০ কোটি ডলার।
খুলনা গেজেট/কেএম