করোনাভাইরাস মহামারি প্রতিরোধে ৫ বছর থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের জন্য ফাইজার-বায়োএনটেকের কোভিড-১৯ টিকার অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) দেশটির খাদ্য ও ওষুধ বিষয়ক প্রধান নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) এই অনুমোদন দেয়।
শনিবার (৩০ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি ও রয়টার্স। ফাইজারের টিকার এই অনুমোদনের পর যুক্তরাষ্ট্রের ২ কোটি ৮০ লাখ শিশুকে করোনা টিকার আওতায় আনার বিষয়টি এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।
আগে চলতি সপ্তাহেই যুক্তরাষ্ট্রের ৫ বছর থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের ফাইজারের টিকা দেওয়ার সুপারিশ করে এফডিএ বিশেষজ্ঞরা। সংস্থাটির বিশেষজ্ঞ প্যানেল সেসময় জানায়, শিশুদের ক্ষেত্রে ফাইজারের টিকা প্রয়োগে নানাবিধ ঝুঁকি ও পাশ্বপ্রতিক্রিয়ার তুলনায় উপকারিতা বেশি।
চীন, চিলি, কিউবা এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)-সহ বিশ্বের হাতেগোনা মাত্র কয়েকটি দেশ অল্পবয়সী শিশুদের করোনা টিকা দেওয়া শুরু করেছে। ফাইজারের টিকা অনুমোদনের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রও এই তালিকায় যুক্ত হলো।
ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফডিএ) ভারপ্রাপ্ত প্রধান জ্যানেট উডকক এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘একজন মা ও চিকিৎসক হিসেবে আমি এটা জানি যে- আজকের এই অনুমোদনের জন্য এতদিন ধরে শিশুদের বাবা-মা, কেয়ার গিভার, স্কুল স্টাফ এমনকি শিশুরাও অপেক্ষা করছিলেন।’
তার ভাষায়, ‘ছোট ও অল্পবয়সী শিশুদের টিকার দেওয়ার মাধ্যমে স্বাভাবিক পরিবেশে ফিরে যাওয়ার মতো পরিস্থিতির কাছাকাছি পৌঁছাতে পারি আমরা।
এদিকে চলতি সপ্তাহেই ফাইজার-বায়োএনটেক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল যে, শিশুদের শরীরে করোনা প্রতিরোধে কার্যকরী হওয়ায় মার্কিন সরকার ৫ কোটি ডোজ তাদের কোভিড-১৯ টিকা কিনেছে। এমনকি পাঁচ বছরের কমবয়সী শিশুদেরকেও এই হিসাবে মধ্যে রেখেই টিকা নিয়েছে দেশটি।
এর আগে গত সেপ্টেম্বরে ফাইজার-বায়োএনটেক জানিয়েছিল, ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের জন্য তাদের টিকা নিরাপদ বলে পরীক্ষায় দেখা গেছে। এছাড়া এই টিকা শিশুদের শরীরে শক্তিশালী প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলে বলেও সেসময় জানিয়েছিল সংস্থাটি।
যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে ১২ বছর থেকে শুরু করে এর বেশি বয়সীদের ফাইজারের টিকা দেওয়া হচ্ছে। তবে এফডিএ’র অনুমোদনের পর এখন দেশটির প্রায় দুই কোটি ৮০ লাখ শিশু নতুন করে ফাইজারের টিকার আওতায় আসবে