দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) যশোরে ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে।
স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ১৮ মে রাজশাহীতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। এটিই এখন পর্যন্ত দেশের নথিভুক্ত ইতিহাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এ হিসেবে ১৯৭২ সালের পর ৫২ বছরের মধ্যে মঙ্গলবার যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
এর আগে, ১৯৯৫ সালের পহেলা মে দেশটির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ওই বছরের ২৫শে এপ্রিল তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৩ ডিগ্রি।
আর ২০১৪ সালের ২১ মে চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা উঠেছিলো ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা দেশের ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ।
কয়েকদিন ধরেই তাপপ্রবাহ বইছে দেশের নানা অঞ্চলে। তীব্র দাবদাহে অসহনীয় হয়ে উঠেছে জনজীবন। অনেক এলাকায় তাপজনিত রোগের কারণে বেশ কয়েকজন মানুষের মৃত্যুর খবরও পাওয়া গেছে। এর মধ্যেই দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রির কাছাকাছি পৌঁছেছে।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। জেলা হিসেবে চুয়াডাঙ্গার ইতিহাসে এটাই সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। আর দেশের হিসেবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড।
উল্লেখ্য, ৩৮ ডিগ্রি থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে মাঝারি তাপপ্রবাহ এবং ৩৬ ডিগ্রি থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলা হয়ে থাকে। ৪০ ডিগ্রি থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়ে থাকে। আর তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রির উপরে উঠলে তাকে বলা হয় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ।ৎ
খুলনা গেজেট/এএজে