খুলনা, বাংলাদেশ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৪ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  সাবেক প্রধান বিচারপতির মৃত্যুতে আজ সুপ্রিম কোর্টের বিচারকাজ বন্ধ
  সিইসিসহ নতুন নির্বাচন কমিশনারদের শপথ আজ
  অ্যান্টিগা টেস্ট: ৪৫০ রানে ইনিংস ঘোষণা ওয়েস্ট ইন্ডিজের, দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ ৪০/২

৫০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ ও পদত্যাগ দাবি করে সিইসিকে আইনি নোটিশ

গেজেট ডেস্ক

বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে চরমোনাই পীরের (সৈয়দ রেজাউল করিম) নেতৃত্বাধীন ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন বাংলাদেশে মেয়র প্রার্থী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীমের ওপর হামলা নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের বক্তব্যকে ‘দায়িত্বহীন ও কুরুচিপূর্ণ’ বলে অ্যাখ্যায়িত করে ৫০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২২ জুন) ফয়জুল করীমের পক্ষে এ নোটিশ ইসলামী আইনজীবী পরিষদের নেতা ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আব্দুল বাসেত।

নোটিশে ক্ষতিপূরণ ছাড়াও সিইসিকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে। আগামী সাত দিনের মধ্যে এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে আইনি প্রতিকার চেয়ে রিট আবেদন করা হবে।

নোটিশের বিষয়ে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আব্দুল বাসেত বলেন, বরিশাল সিটি নির্বাচনে আহত হওয়ার পর সিইসির দেওয়া বক্তব্য ‘উনি (ফয়জুল) কি ইন্তেকাল করেছেন?’ সম্বলিত খবরটি যুক্ত করা হয়েছে।

নোটিশে বলা হয়, মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী সৈয়দ পরিবারের সন্তানই নন, তিনি একজন ধর্মীয়, আধ্যাত্মিক, রাজনৈতিক ব্যক্তি এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির। দেশ ও বিদেশে লাখ লাখ ভক্ত ও অনুসারী রয়েছে তার।

এতে বলা হয়, ভোট কারচুপিতে বাঁধা দেওয়ার কারণে তার ওপর হত্যার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিত হামলার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসির বক্তব্য দায়িত্বজ্ঞানহীন, অযাচিত, কুরুচিপূর্ণ, অমানবিক ও বেআইনি এবং অনৈতিক। যার ফলে চরমোনাই পীরের শারীরিক, মানসিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। তার মর্যাদা ও সুনামের অবর্ণনীয় ক্ষতি হয়েছে। তার আনুমানিক ক্ষতির পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকা।

এর আগে বুধবার সকাল ১০টায় রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটের সামনে গণমিছিলে চরমোনাই পূর ও বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, ‘আমাদের মেয়র প্রার্থীকে নিয়ে সিইসি যে মন্তব্য করেছেন তা কেউ বলেনি, কোনো সুস্থ মানুষ এমন মন্তব্য করতে পারেন না। ফলে কোনো অসুস্থ মানুষ নির্বাচন কমিশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে থাকতে পারেন না। এরপরও যদি তাকে রাখা হয় তাহলে তার পদত্যাগের জন্য যা কিছু করতে হয় জনগণ তাই করবে।’

১২ জুন বরিশাল সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনয়নে হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী ছিলেন ফয়জুল করীম। ওই দিন একটি কেন্দ্রে হামলার শিকার হন তিনি।

এদিকে, রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সিইসিকে এ হামলার বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন। জবাবে তিনি বলেন, ‘উনি কি ইন্তেকাল করেছেন? না, উনি কি কতটা…আমরা যেটা দেখেছি, ওনার কিন্তু রক্তক্ষরণটা দেখিনি। যতটা শুনেছি, ওনাকে কেউ পেছন দিক থেকে ঘুষি মেরেছে। ওনার বক্তব্যও শুনেছি, উনিও বলেছেন-, ‘‘ভোট বাধাগ্রস্ত হচ্ছে না। আমাকে আক্রমণ করা হয়েছে’’।

খুলনা গেজেট/এসজেড




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!